ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় খলনায়ক মিশা সওদাগর। ইতোমধ্যে আট শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ক্যারিয়ারে অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। বাংলা চলচ্চিত্রে খলনায়ক হিসেবে নিজেকে নিয়ে গেছেন অতুলনীয় উচ্চতায়। কয়েক বছর ধরে এ অভিনেতার সর্বাধিকসংখ্যক সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। বর্তমানে তার হাতে রয়েছে একাধিক সিনেমার কাজ।
চলচ্চিত্রে মন্দা হাওয়া বইছে। একের পর এক সিনেমা মুখ থুবড়ে পড়ছে। কোনো শিল্পী বা নির্মাতার সিনেমা ভালো যাচ্ছে না। কেউ কেউ নিজের সিনেমা ‘ব্যবসাসফল’ দাবি করলেও মূলত তা ব্যর্থ। এ প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন মিশা সওদাগর।
মিশা বলেন, ‘সিনেমা চলবে কেন? সিনেমা চলার মতো যে গুণ থাকা দরকার সেগুলো কী আমরা দিতে পারছি? আমরা কি বলতে পারি- এই সিনেমা চলার কথা ছিল! সিনেমার স্ক্রিপ্ট হচ্ছে বড় নায়ক, বড় নায়িকা। এরপর পরিচালক যদি ঠিক থাকেন তাহলেই সিনেমা চলবে। এখন হাতের মুঠোয় সবকিছু। চাইলেই বিশ্বের সব সিনেমা দেখতে পাবেন। একসময় ২৯টি শো হাউসফুল দিয়েছি। এখন নায়ক-নায়িকা রাস্তায় নেমেও এক শো হাউসফুল দিতে পারেন না। তখন আমরা কোথাও যাইনি, প্রচারও করিনি। এখন নতুন একটা শব্দ শুনি ‘লুক’। লুক কী? গল্পের লুক আছে কিনা সেটা বলেন! নায়কের লুক দিতে দিতে এখন সিনেমাই চলে না।’
পরিচালক যদি ভাবতে পারেন তিনি বড় ক্যাপ্টেন, তাহলে সিনেমা আবার চলবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মিশা বলেন, ‘‘দর্শক প্রেক্ষাগৃহে ফেরাতে হলে সিনেমা নিয়ে গবেষণা করতে হবে। শিল্পী দেরিতে আসার পর ‘প্যাকআপ’ বলতে না পারলে কিসের পরিচালক? দেরি করে আসলে যদি বলতে না পারেন— ‘তুমি চলে যাও, কালকে সকাল ৯টায় আসবে’। এই কথাটা আবার বলতে শেখেন। পরিচালকের সামনে শিল্পী কথা বলবে কেন? যে শিল্পী সময় মতো আসে না, একদিন-দুদিন, তিনদিন-চারদিনের মাথায় প্যাকআপ করে দিন। দেখবেন সব ঠিক হয়ে যাবে।’’
মিশা সওদাগর টানা দ্বিতীয়বারের মতো চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি এ দায়িত্ব পালন করছেন এই অভিনেতা। ১৯৮৬ সালে বিএফডিসির নতুন মুখের সন্ধানে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন তিনি। তখন তার বয়স ছিল ২০ বছর। পরিচালক ছটকু আহমেদ পরিচালিত ‘চেতনা’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন। অভিষেক চলচ্চিত্রে নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন এই অভিনেতা।