২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৬:৩১

স্ত্রীর ২ হাত ভেঙে ওয়াজ করতে গিয়ে গণপিটুনি খেলেন মাওলানা

যৌতুকের দাবিতে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে স্ত্রীর দুই হাত ভেঙে দেয়ার পর ঘরে আটকে রেখে ওয়াজ করতে গিয়ে গণপিটুনি খেলেন মাওলানা এএইচএম সোয়াইব হোসাইন সিদ্দিকী।

রোববার রংপুরের পীরগঞ্জে একটি ইসলামী জলসায় ওয়াজ করতে গেলে তাকে আটকে গণপিটুনি দেয় জনতা। পরে তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়।

রাতেই মাওলানা এএইচএম সোয়াইব হোসাইন সিদ্দিকীকে আসামি করে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর থানায় মামলা করেন তার শাশুড়ি কোহিনুর বেগম।

মাওলানা এএইচএম সোয়াইব হোসাইন সিদ্দিকী কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার মধ্যচর বারুইটারী গ্রামের আবদুল হাই মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, দেড় বছর আগে হাফেজ মাওলানা সোয়াইব হোসাইন সিদ্দিকীর সঙ্গে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার দূরা মিঠিপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহিম সরকারের মেয়ে সোমিয়া ছিদ্দিকার বিয়ে হয়।

বিয়ের পর থেকে মাওলানা সিদ্দিকী যৌতুক দাবি করতেন। যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে প্রায়ই মারপিট করতেন তিনি।

গত ১৮ জানুয়ারি লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে স্ত্রীর দুই হাত ভেঙে দেন। এর পর তাকে ঘরে আটকে রেখে ইসলামী জলসায় ওয়াজ করতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।

এর পর থেকে স্ত্রী ও পরিবারের সঙ্গে মাওলানা সিদ্দিকীর যোগাযোগ বন্ধ ছিল। কোনোভাবেই তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না।

প্রায় দেড় মাস পর গত রোববার রংপুরের পীরগঞ্জে একটি ইসলামী জলসায় ওয়াজ করার জন্য অতিথি হয়ে আসেন তিনি। খবর পেয়ে স্ত্রী সোমিয়ার পরিবারসহ আশপাশের লোকজন একত্র হয়ে তাকে আটক করে উত্তম-মধ্যম দেয়।

পরে সোমিয়ার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে রংপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

সাদুল্যাপুর থানা পুলিশের ওসি মাসুদ রানা জানান, গৃহবধূর দুহাত ভেঙে ফেলার ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাওলানা সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রকাশ :মার্চ ৩, ২০২০ ১:৫৭ অপরাহ্ণ