সংসদের ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থীরা তাদের প্রচারের জন্য ২১টি স্থানে পোস্টার লাগাতে পারবেন। এর বাইরে আর কোথাও পোস্টার লাগানো যাবে না।
এসব জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রবিবার নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পর এ তথ্য জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা জি এম শাহাতাব উদ্দিন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, যে ২১ স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে সেগুলো হলো- হাজারীবাগ সেকশনের ময়না মার্কেট, হাজারীবাগ উচ্চ বিদ্যালয়, হাজারীবাগ পার্ক, ট্যানারি মোড়ের ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি, গণকটুলী চৌরাস্তা মোড়ের বিডিআর গেট নম্বর-৫, রায়ের বাজারের জরিনা সিকদার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ধানমন্ডি-১৫-এর কাকলী উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা সিটি কলেজ সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও সিটি কলেজের উত্তর পাশের রিফাতুল্লাহ মার্কেট।
ঢাকা কলেজ, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, ধানমন্ডির বিপরীত পাশের সায়েন্স ল্যাবরেটরির টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ধানমন্ডি রোড নম্বর-৮ এর শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব মাঠ, কলাবাগান ক্রীড়াচক্র মাঠ, হাতিরপুলের মোতালেব প্লাজার বিপরীত পাশের তিন নম্বর রাস্তার মোড়, রাসেল স্কয়ারের নিউ মডেল স্কুল, ধানমন্ডি-৩২ রাসেল স্কয়ার, শুক্রাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় বাসস্ট্যান্ড, শুক্রাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ রোডের গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল এবং নীলক্ষেত চৌরাস্তা মোড়ের সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট।
এ ব্যাপারে প্রার্থীদের সঙ্হে সমঝোতা হয়েছে বলে জানান রিটার্নিং ককর্মকর্তা। এই সমঝোতাকে ঐতিহাসিক স্মারক হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আশা রাখি, সবাই এই সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য নির্ধারিত ২১টি স্থানে পোস্টার লাগাবেন। নির্ধারিত স্থায়ী ক্যাম্পও থাকবে। তাতে সীমিত মাত্রায় শব্দযন্ত্র ব্যবহার করবেন। নির্ধারিত তিনটি স্থানে তারা জনসভা ও পথসভা করবেন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে।’
ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনের প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের মো. শফিউল ইসলাম (নৌকা), বিএনপির শেখ রবিউল আলম (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির মো. শাহজাহান (লাঙল), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মিজানুর রহমান চৌধুরী (ডাব), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী (হারিকেন) এবং প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের আব্দুর রহীম (বাঘ)।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২১ মার্চ এ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সাংসদ শেখ ফজলে নূর তাপস দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য পদত্যাগ করলে আসনটি শুন্য হয়। গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তাপস মেয়র পদে বিজয়ী হন।