কয়েকদিন আগে এ বিষয়ে সমালোচনা করেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। এক সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এ আর রহমান বলেন, পুরুষদের বোরকা পরার নিয়ম নেই, সম্ভব হলে আমিও পরতাম। সাধারণ জীবনযাপনের জন্য এটি খুবই ভালো। আমার মতে, খাতিজা এর মধ্যেই তার স্বাধীনতা খুঁজে পেয়েছে। তার সরলতা এবং সে যে সামাজিক কর্মকাণ্ড করে তাতে আমি মুগ্ধ।
তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি, এটি যতটা না ধর্মীয় তার চেয়ে মনস্তাত্ত্বিক বিষয়। কারণ সে গানও গেয়েছে এবং ১ কোটি লোক সেটি তাদের রিংটোন হিসেবে ব্যবহার করেছেন। আত্মকেন্দ্রীক কাউকে যখন খারাপ অথবা ভালো নিয়ে জ্বালাতন করবেন যে কেউ-ই এটির পাল্টা জবাব দেবে।
এর আগে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে তসলিমা নাসরিন লেখেন, আমি এ আর রহমানের সংগীত খুবই পছন্দ করি। কিন্তু যখনই তার মেয়ের দিকে তাকাই আমার দম বন্ধ হয়ে যায়। একটি শিক্ষিত ও সংস্কৃতিমনা পরিবারের সদস্য হয়েও কত সহজে ব্রেইনওয়াস হয়, এটি খুবই হতাশার।
এর পাল্টা জবাবও দিয়েছেন এ আর রহমানের মেয়ে খাতিজা। ফটো শেয়ারিং সাইট ইনস্টাগ্রামে তসলিমা নাসরিনকে উদ্দেশ্যে করে তিনি লেখেন, আমি দুঃখিত আমার পোশাকে আপনার দম বন্ধ হয়ে যায়। দয়াকরে মুক্ত বাতাস গ্রহণ করুন। আমার দম বন্ধ হয় না, কারণ আমি যে নীতি মেনে চলি তাতে আমি গর্বিত। আমি আপনাকে পরামর্শ দিব, প্রকৃত নারীবাদ কী তা গুগল করে জেনে নিন। নারীবাদ মানে অন্য মেয়েকে হেয় করা ও কোনো বিষয়ে তার বাবাকে টেনে আনা নয়। আর কখনো আপনাকে আমার বোরকা পরা ছবি পাঠিয়েছি কিনা আমার মনে পড়ে না।