রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৬ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার আলোচিত এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় নতুন এ দিন ধার্য করেন ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা।
গত ৫ জানুয়ারি ঢাবির ওই ছাত্রী কুর্মিটোলার অদূরে শেওড়া এলাকায় বান্ধবীর বাসায় যেতে ক্যাম্পাসের বাসে উঠেছিলেন। সন্ধ্যার দিকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও গলফ ক্লাবসংলগ্ন সড়কে নামার পর এক দুর্বৃত্ত তার মুখ চেপে জোর করে টেনে নিয়ে যায়। অদূরেই ঝোপের মধ্যে তাকে নিয়ে ধর্ষণ করে।
একপর্যায়ে ওই ছাত্রী অচেতন হয়ে পড়েন। ঘটনার অন্তত তিন ঘণ্টা পর রাত ১০টার দিকে চেতনা ফিরলে তিনি কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। সহপাঠী ও স্বজনরা ঘটনা জানার পর ওই রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করেন।
ওই ঘটনায় ছাত্রীর বাবা রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ ও র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা ধর্ষককে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে মাঠে নামে। ঘটনার তিন দিনের মাথায় রাজধানীর কাওলা এলাকা থেকে ভবঘুরে মজনুকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১-এর একটি দল।
ওইদিনই সংবাদ সম্মেলন করে র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, গ্রেপ্তার মজনু একজন সিরিয়াল রেপিস্ট (ক্রমিক ধর্ষক)। এর আগেও সে একাধিক ভবঘুরে, ফুটপাতে থাকা প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ করেছে। গ্রেপ্তারের পর সে ঢাবি ছাত্রীকে ধরে নিয়ে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। ঘটনার শিকার মেয়েটিও ছবি দেখে মজনুকে ধর্ষক হিসেবে চিহ্নিত করেছে।