সীমান্ত হত্যা বন্ধে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নেয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানান নাসির। এরই মধ্যে অবস্থান কর্মসূচি থেকে এক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন নাছির। তবে অংশ নিতে পারছেন না নিয়মিত ক্লাসে।
নাসির বলেন, ‘সীমান্তে বিএসএফ প্রতিনিয়ত বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা করছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাতে নির্বিকার, যা খুবই দুঃখজনক। বাংলাদেশের কোনো নাগরিক কোনো অপরাধ করলে তা দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যায়। গুলি করে হত্যা কোনো সমাধান নয়।’
প্রতিবাদী এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘নির্বিচারে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশের মানুষের উচিত ছিল জেগে ওঠা।কিন্তু তা হচ্ছে না। তাই আমি নিজেই এর বিচারের দাবিতে অবস্থান নিয়েছি।’ নাসির সীমান্ত হত্যা বন্ধের পাশাপাশি সীমান্ত সমস্যার সমাধানও চান।
গত ২৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা থেকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন নাসির। এরই মধ্যে তার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ অনেকেই সংহতি জানিয়েছেন। সংহতি জানানো শিক্ষার্থীরা অবস্থানস্থলে বাঁশ ও কাপড় দিয়ে তার জন্য ছোট একটি প্যান্ডেলও করে দিয়েছেন।
এদিকে জনসাধারণকে সীমান্ত হত্যা সম্পর্কে অবগত করা এবং গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে জনসমর্থন নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও আন্তর্জাতিক আইনি সংস্থার কাছে সীমান্ত সমস্যার বিষয়টি তুলে ধরার উদ্দেশে রবিবার বিকালে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংহতি ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। জানা যায়, কর্মসূচিটির উদ্বোধন করবেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আনু মুহাম্মদ।