রবিবার জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আদালতকে বলেছি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের আরও অবনতি হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ নেওয়া প্রয়োজন। আমরা এ ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের কথা বলেছি।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়ে আপিল বিভাগের একটি আদেশ আছে। আদেশ অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে কিনা এবং তিনি চিকিৎসা নিতে সম্মতি দিয়েছেন কিনা সে বিষয়টি জানতে চেয়ে আদালত একটি আদেশ দিয়েছেন।’
এদিকে দপুরে খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি শুরু হওয়ার আগে সকাল থেকেই সুপ্রিম কোর্ট এলাকার চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয় তল্লাশি করে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন জমা দেওয়া হয়। পরদিন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন আবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করলে শুনানির জন্য রবিবার দিন রাখে হাইকোর্ট।
বিএনপি বলে আসছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে না। জামিন পেলে তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে চান।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা দুটি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য আবেদন করা হয়। স্বাস্থ্যগত কারণ এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে চেয়ে এ আবেদন করা হয়েছে। এ মামলায় জামিন পেলে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায়ও তাকে জামিন পেতে হবে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ১০ বছর ও জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া কারা কর্তৃপক্ষের অধীনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।