আরবান হ্যাবিট্যাট কনসালট্যান্টসের চেয়ারম্যান স্থপতি ও পরিকল্পনাবিদ তানউইর নেওয়াজ মূল প্রবন্ধে বলেন, ‘ঢাকা শহরে প্রতি স্কয়ার কিলোমিটারের ৪ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ বসবাস করেন। এটি পৃথিবীতে সর্বাধিক। গত ৪৮ বছরে ঢাকা শহরে ৩৪৫ স্কয়ার কিলোমিটার এলাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে ভাসমান মানুষের সংখ্যা, ২৮ মিলিয়নেরও বেশি।’
গবেষণায় বলা হয়েছে, বর্তমানে বৃহত্তর ঢাকার গাজীপুর, সাভার, নারায়ণগঞ্জ মানিকগঞ্জে ২০ মিলিয়ন লোকের বসবাস রয়েছে। পাল্লা দিয়ে রাজধানী ঢাকায় মানুষের চাপ আরও বাড়ছে এবং যানজটও বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিনই নতুন যানবাহন যুক্ত হচ্ছে কিন্তু সড়কের বেহাল দশা।
চলমান এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য যেসকল পরিকল্পনা বা সুপারিশ গৃহীত হচ্ছে তার বেশিরভাগই স্বল্পমেয়াদী বলে দেখানো হয়েছে গবেষণাপত্রে। একইসঙ্গে সারাদেশের যাত্রীবান্ধব গণপরিবহন ব্যবস্থা কার্যকরভাবে গড়ে তুলতে না পারায় যাত্রীসেবার মান তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।
যানজট কতটুকু কমানো সম্ভব হবে সেটি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ‘এটি ভয়ঙ্কর সমস্যা। চার বছর আগে যে রাস্তা কাটা হয়েছে তার কাজ এখনো শেষ হচ্ছে না। এসব সমস্যার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রকিবুর রহমান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্ট্রাস্ট ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি প্রকৌশলী খোরশেদ আলমসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।