জেফ বেজোসের প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনে চাকরি করেন সাড়ে সাত লাখ মানুষ, যা ইউরোপের দেশ লুক্সেমবার্গের মোট জনসংখ্যার চেয়েও বেশি। অ্যামাজন এক সময় ছিল অনলাইনে পুরনো বই বিক্রির প্রতিষ্ঠান। আর এখন ই-কমার্স সাইটটি থেকে কেনা যায় না; এমন পণ্যের সংখ্যা বিরল। দুনিয়ার যে কোনও প্রান্ত থেকে পোষা বিড়ালের খাবার থেকে শুরু করে দামি ক্যাভিয়ার পর্যন্ত সব কিছুই কেনা যায় অ্যামাজনে। প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে স্ট্রিমিং টিভি, এমনকি নিজস্ব অ্যারোস্পেস কোম্পানি।
ই-কমার্স কিং
১৯৯৫ সালে অনলাইনে পুরোনো বই বিক্রির প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন চালু করেন জেফ বেজোস। মাত্র এক মাসের মধ্যেই তার ব্যবসা হু হু করে বাড়তে শুরু করে। এক মাসের মধ্যেই অ্যামাজন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের সবগুলোতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ৪৫টি দেশে অর্ডার পাঠায়। পাঁচ বছর পর তাদের ক্রেতার সংখ্যা এক লাখ ৮০ হাজার থেকে বেড়ে এক কোটি ৭০ লাখে পৌঁছায়। শুরুর দিকে বিক্রি ছিল ৫ লাখ ১১ হাজার ডলার। পাঁচ বছর পর তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬০ কোটি ডলার। বড় বড় কোম্পানি অ্যামাজনের দরজায় ছুটে আসতে শুরু করে। ১৯৯৭ সালে অ্যামাজন পাবলিক কোম্পানিতে পরিণত হলো। অর্থ উঠলো ৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার। বয়স ৩৫ হবার আগেই জেফ বেজোস হয়ে গেলেন পৃথিবীর শীর্ষ ধনীদের একজন। ১৯৯৯ সালে টাইম ম্যাগাজিন তাকে ‘কিং অব সাইবার-কমার্স’ হিসেবে আখ্যায়িত করে।