করোনা ভাইরাস ঠেকাতে চীনা কর্তৃপক্ষ যখন হিমশিম খাচ্ছে, তখনই হুনান প্রদেশে এইচ৫এন১ বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়ার তথ্য জানা গেছে। এই প্রদেশটি করোনা ভাইরাসের প্রাণকেন্দ্র হুবেই প্রদেশের দক্ষিণে অবস্থিত।
এইচ৫এন১ ফ্লু অনেক সময়ই বার্ড ফ্লু নামে ডাকা হয়। এর সংক্রমণে পাখি মারাত্মক শ্বাসকষ্টে ভোগে এবং এটি মানুষে সংক্রমিত হতে পারে। ১৯৯৬ সালে চীনের গিসেতে সর্বপ্রথম এই ভাইরাসটি পাওয়া যায়। মূলত ক্ষতিগ্রস্ত হয় পোল্ট্রি শিল্প।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ‘মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে বার্ড ফ্লু সংক্রমিত হওয়া অসম্ভব নয়, তবে কঠিন।’ মার্কিন সেন্টার ফর ডিজেজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তথ্য অনুযায়ী, বেশিরভাগ মানুষই অ্যাভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে দীর্ঘদিন এবং দীর্ঘসময় ধরে আক্রান্ত পাখির সংস্পর্শে থাকার পর।
ডব্লিউএইচও বলছে, মানুষ থেকে মানুষে ভাইরাসটি সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা বিরল হলেও তা হয়েছে। তবে আশার কথা হলো, এই সংক্রমণ স্থায়ী হয়নি এবং কোনও জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়েনি। তবে আক্রান্ত হওয়া মানুষের জন্য বার্ড ফ্লু খুবই প্রাণঘাতী। করোনা ও সার্স ভাইরাস থেকেও এই ভাইরাসটি আরও বেশি ভয়ঙ্কর। ডব্লিউএইচও এর তথ্য অনুযায়ী ২০০৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এইচ৫এন১ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছে মোট ৮৬১ জন। এর মধ্যে ৪৫৫ জন মারা গেছে। অর্থাৎ গত ১৫ বছরে বার্ড ফ্লু আক্রান্ত ৫০ শতাংশেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এদিকে গত ১৬ বছরে চীনে ৫৩ জন আক্রান্তের মধ্যে মারা গেছে ৩১ জন।