২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৮:১৪

ইভিএম অধ্যাদেশ সংসদে পাসের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সংক্রান্ত অধ্যাদেশ-২০১৮ সংসদে পাস হয়েছে কিনা, তা জানাতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিচপারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন না করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। একইসঙ্গে ইভিএম সংক্রান্ত অধ্যাদেশ-২০১৮ এবং এর বিধিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতির সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যানকে এ রিটে বিবাদী করা হয়।
রিটে বলা হয়, ইভিএম সংক্রান্ত আইন সংসদে পাস হয়নি এবং আরপিও ধারা ২৬-এ অনুযায়ী ইভিএম বাধ্যতামূলক नয়। সুতরাং এ আইন জরুরি ছিল না। এটি সংবিধানের ৯৩ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ, অনুচ্ছেদ ৯৩ কেবলমাত্র জরুরি প্রয়োজনে সংসদ না থাকলে অধ্যাদেশ জারি করতে পারে। ২০১৮ সালে সংসদ বহাল ছিল এবং ইভিএম জরুরি ছিল না। ২০১৮ সালের নির্বাচনে মাত্র ছয়টিতে ইভিএম চালু ছিল। কিন্তু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়নি।
এছাড়া, সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদে এবং অন্যান্য আইনে জনগণের সরাসরি গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার বিধান আছে, কিন্তু যন্ত্রের মাধ্যমে নয়। যন্ত্রের মাধ্যমে প্রকৃত ভোটার যাচাই-বাছাই করা যেতে পারে, কিন্তু ভোট ব্যালটের মাধ্যমেই সরাসরি দিতে হবে। আমেরিকা, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশে ইভিএম নেই। ওই আইন পাস করতে জনগণের গণভোটও নেওয়া হয়নি। ওই আইন সংবিধানের ৭, ১১, ১৯, ২৬, ২৭, ২৮, ৩১, ৩২ ও ৯৩ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এছাড়া গণতন্ত্র সংবিধানের মূল ভিত্তি। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ইভিএম অসাংবিধানিক। তাই এই আইনে নির্বাচন না করার নিযেধাজ্ঞা চেয়েছি।

প্রকাশ :জানুয়ারি ২১, ২০২০ ২:১৩ অপরাহ্ণ