২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৪:০৮

দৃষ্টিসীমা কমিয়ে দিয়েছে কুয়াশা

ঢাকার উঁচু ভবনগুলোর দিকে তাকালে মনে হবে যেন চারপাশে মেঘ ঘিরে রেখেছে। ১০০ মিটার দূরে কী আছে তা দেখার উপায় নেই।

ঘন কুয়াশার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি  হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কুয়াশার সঙ্গে রয়েছে কনকনে শীত ও মৃদু ঠাণ্ডা বাতাস।

মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলেছে, আবহাওয়া শুষ্ক রয়েছে। আকাশে মেঘ রয়েছে। তবে কোথাও কোথাও মৃদু থেকে ঘন কুয়াশা রয়েছে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে।

আবহাওয়াবিদ একে এম নাজমুল হক বলেন, সকাল ৮টার আগে কুয়াশার কারণে ঢাকায় দৃষ্টিসীমা ছিল ৫০ মিটার। সকাল ৮টার পর এটি উন্নীত হয়ে ১০০ মিটারে দাঁড়িয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কিছুটা কাটবে। তবে এর রেশ থেকে যাবে।

তিনি জানান, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগসহ যশোর ও চুয়াডাঙায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

আজ দেশের সর্বনিম্ন তামপাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড় ও তেতুলিয়ায় ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সাধারণত তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। আর তাপমাত্রা ৬-৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে।

 

আবহাওয়া বিভাগ আরো জানিয়েছে, শীতের তীব্রতা আগামী দুই-তিন দিন একই রকম থাকতে পারে। তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে ১৫ জানুয়ারি থেকে।

এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে সকাল থেকে রাজধানীর সড়কে যান চলাচল অন্যান্য দিনের তুলনায় কম ছিল। সকাল থেকে গাড়িগুলো হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।

সাভার থেকে রাজধানীর ধানমন্ডিতে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাশ করতে আসা ইফতিজা জান্নাত জানান, তিনি গাড়ির সামনের দিকে ছিলেন। ঘুন কুয়াশার কারণে সামনে কী আছে দেখা যাচ্ছিল না। গাড়ি হেড লাইট জ্বালিয়ে ধীরে ধীরে চলছিল।

তিনি বলেন, কুয়াশা ও বাতাসের কারণে শীত একটু বেশি অনুভূত হচ্ছে।

বাড্ডা থেকে আবু সালেহ জানান, কুয়াশায় জানালা ভিজে গেছে। হাত দিলে মনে হবে কিছুক্ষণ আগে হয়তো বৃষ্টি হয়েছে।

এছাড়া, ঘন কুয়াশার কারণে ভোর থেকে ভিজিবিলিটি শূন্য হওয়ায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ওঠা-নামা বন্ধ রয়েছে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে কোনো ফ্লাইট ছেড়ে যায়নি।

বিমানের কর্মকর্তারা জানান, রানওয়েতে সাধারণত দৃষ্টিসীমা ৬০০ থেকে ৮০০ মিটার থাকলে উড়োজাহাজ ওঠা-নামা করে। সাধারণত ভিজিবিলিটি বা দৃষ্টিসীমা তিন হাজার মিটার বা তার নিচে নামলেই আবহাওয়া অধিদপ্তর এভিয়েশন ওয়ার্নিং দেয়, সেটি দুই হাজার বা তার নিচে আসলে তখন বিমান নামতেও পারে না।

প্রকাশ :জানুয়ারি ১৪, ২০২০ ১:০৭ অপরাহ্ণ