চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জে শতবর্ষী বৃদ্ধাকে রেল স্টেশনের প্ল্যাটফরমে ফেলে রেখে স্বজনরা পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তীব্র শীতে সেখানে টানা ১৫ দিন অবর্ণনীয় কষ্টে কাটানোর পর রবিবার (১২ জানুয়ারী) রাতে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
সোমবার সকালে সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় শতবর্ষী ওই বৃদ্ধা হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছেন। তার অস্পষ্ট কথা এবং ইশারায় ফুটে উঠছে সন্তানদের প্রতি ক্ষোভ।
স্থানীয়রা বলছেন, বৃদ্ধার স্বজনরা তাকে ১৫ দিন আগে জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের পরিত্যক্ত একটি প্ল্যাটফরমে ফেলে যায়। তারপর থেকেই ওই বৃদ্ধা তীব্র শীতের মধ্যে সেখানেই অবস্থান করছিলেন।
রহনপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকার দোকানদার সিরাজুল ইসলাম জানান, দিন ১৫ আগে এক সন্ধ্যায় ভ্যান গাড়িতে করে এক নারী ও এক পুরুষ এসে ওই বৃদ্ধাকে স্টেশনের পরিত্যক্ত প্ল্যাটফরমে রেখে যান। যারা রেখে যান তাদের আচরণ দেখে মনে হয়েছিল বৃদ্ধার স্বজন। জিজ্ঞাস করলাম কী ব্যাপার, কিন্তু তারা কোনও কথা না বলে ভ্যান নিয়ে চলে যায়। তাদেরকে এলাকার পরিচিত বলেও মনে হলো না। পরে বৃষ্টি শুরু হলে ওই বৃদ্ধাকে প্ল্যাটফরমের একটি ছাউনির নিচে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসি। পরে সেখানে কিছু খড় ও পুরনো কম্বল দিয়ে বিছানা তৈরি করে তার থাকার ব্যবস্থা করি। এ কয়দিন তিনিই ওই বৃদ্ধার দেখাশুনা করেছেন। খাওয়া-দাওয়া, চিকিৎসাসহ যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন তাকে সুস্থ করে তুলতে। কিন্তু এতদিন ওই বৃদ্ধার আত্মীয়স্বজন বা পরিবারের লোকজন কেউ কোন খোঁজখবর নেয়নি।
ডালিম নামে আরেকজন বলেন, আমরা স্থানীয়রা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। তার নাম পরিচয় জানার চেষ্টা করেছি। কিন্তু বৃদ্ধা তেমন কোনও কথা বলতে পারতো না। শুধু খাবার খেতে চাইতো। রবিবার অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় প্রশাসন রাতেই তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর তদন্ত ফাঁড়ির সহকারী পুলিশ পরিদর্শক তোহিদুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জের নির্দেশে প্ল্যাটফরমে গিয়ে দেখি মুমূর্ষু অবস্থায় নোংরা পরিবেশে ঠান্ডায় কাতরাচ্ছে ওই বৃদ্ধা। পরে মানবিকতার জায়গা থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে রাত ১০টার দিকে তাকে ভর্তি করি এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৃদ্ধার নাম পরিচয় জানতে আমরা পুলিশ প্রশাসন, সিভিল প্রশাসনসহ সোশ্যাল সাইটে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।’
গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. সালাউদ্দিন আহম্মেদ বলেন,‘রবিবার রাত দশটার দিকে ওই বৃদ্ধাকে যখন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়, তখন সাড়া না মিললেও, সোমবার সকাল থেকেই তিনি সাড়া দিচ্ছেন। অস্পষ্টভাবে কথাও বলছেন। তবে কিছুটা সুস্থ হলেও ওই বৃদ্ধা শঙ্কামুক্ত নন।’
তিনি আরও বলেন,‘তার কনসাস লেভেল স্বাভাবিক পর্যায়ে নেই। প্রচণ্ড অপুষ্টি আর অপরিচ্ছন্ন ও ঠান্ডা পরিবেশে থাকায় তার এমন অবস্থা। ’
এদিকে অমানবিক এই ঘটনার খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি, পুলিশ প্রশাসন, রহনপুর পৌরসভাও ওই বৃদ্ধার পাশে দাঁড়িয়েছেন। এরইমধ্যে ওই বৃদ্ধার চিকিৎসাসহ যাবতীয় খরচের দায়িত্ব নিয়েছেন রহনপুর পৌরসভার মেয়র তারেক আহমেদ। তিনি বলেন,‘ঘটনাটি খুবই অমানবিক। খবর পাওয়ার পর আমি রাতেই হাসপাতালে ছুটে আসি। চিকিৎসার পাশাপাশি সার্বক্ষণিক বৃদ্ধার খবর রাখতে পৌরসভার পক্ষ থেকে একজনকে রেখেছি।
স্থানীয়রা বলছেন, বৃদ্ধার স্বজনরা তাকে ১৫ দিন আগে জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের পরিত্যক্ত একটি প্ল্যাটফরমে ফেলে যায়। তারপর থেকেই ওই বৃদ্ধা তীব্র শীতের মধ্যে সেখানেই অবস্থান করছিলেন।
রহনপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকার দোকানদার সিরাজুল ইসলাম জানান, দিন ১৫ আগে এক সন্ধ্যায় ভ্যান গাড়িতে করে এক নারী ও এক পুরুষ এসে ওই বৃদ্ধাকে স্টেশনের পরিত্যক্ত প্ল্যাটফরমে রেখে যান। যারা রেখে যান তাদের আচরণ দেখে মনে হয়েছিল বৃদ্ধার স্বজন। জিজ্ঞাস করলাম কী ব্যাপার, কিন্তু তারা কোনও কথা না বলে ভ্যান নিয়ে চলে যায়। তাদেরকে এলাকার পরিচিত বলেও মনে হলো না। পরে বৃষ্টি শুরু হলে ওই বৃদ্ধাকে প্ল্যাটফরমের একটি ছাউনির নিচে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসি। পরে সেখানে কিছু খড় ও পুরনো কম্বল দিয়ে বিছানা তৈরি করে তার থাকার ব্যবস্থা করি। এ কয়দিন তিনিই ওই বৃদ্ধার দেখাশুনা করেছেন। খাওয়া-দাওয়া, চিকিৎসাসহ যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন তাকে সুস্থ করে তুলতে। কিন্তু এতদিন ওই বৃদ্ধার আত্মীয়স্বজন বা পরিবারের লোকজন কেউ কোন খোঁজখবর নেয়নি।
ডালিম নামে আরেকজন বলেন, আমরা স্থানীয়রা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। তার নাম পরিচয় জানার চেষ্টা করেছি। কিন্তু বৃদ্ধা তেমন কোনও কথা বলতে পারতো না। শুধু খাবার খেতে চাইতো। রবিবার অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় প্রশাসন রাতেই তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর তদন্ত ফাঁড়ির সহকারী পুলিশ পরিদর্শক তোহিদুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জের নির্দেশে প্ল্যাটফরমে গিয়ে দেখি মুমূর্ষু অবস্থায় নোংরা পরিবেশে ঠান্ডায় কাতরাচ্ছে ওই বৃদ্ধা। পরে মানবিকতার জায়গা থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে রাত ১০টার দিকে তাকে ভর্তি করি এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৃদ্ধার নাম পরিচয় জানতে আমরা পুলিশ প্রশাসন, সিভিল প্রশাসনসহ সোশ্যাল সাইটে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।’
গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. সালাউদ্দিন আহম্মেদ বলেন,‘রবিবার রাত দশটার দিকে ওই বৃদ্ধাকে যখন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়, তখন সাড়া না মিললেও, সোমবার সকাল থেকেই তিনি সাড়া দিচ্ছেন। অস্পষ্টভাবে কথাও বলছেন। তবে কিছুটা সুস্থ হলেও ওই বৃদ্ধা শঙ্কামুক্ত নন।’
তিনি আরও বলেন,‘তার কনসাস লেভেল স্বাভাবিক পর্যায়ে নেই। প্রচণ্ড অপুষ্টি আর অপরিচ্ছন্ন ও ঠান্ডা পরিবেশে থাকায় তার এমন অবস্থা। ’
এদিকে অমানবিক এই ঘটনার খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি, পুলিশ প্রশাসন, রহনপুর পৌরসভাও ওই বৃদ্ধার পাশে দাঁড়িয়েছেন। এরইমধ্যে ওই বৃদ্ধার চিকিৎসাসহ যাবতীয় খরচের দায়িত্ব নিয়েছেন রহনপুর পৌরসভার মেয়র তারেক আহমেদ। তিনি বলেন,‘ঘটনাটি খুবই অমানবিক। খবর পাওয়ার পর আমি রাতেই হাসপাতালে ছুটে আসি। চিকিৎসার পাশাপাশি সার্বক্ষণিক বৃদ্ধার খবর রাখতে পৌরসভার পক্ষ থেকে একজনকে রেখেছি।
শতবর্ষী এই বৃদ্ধার ওপর এমন নির্দয় আচরণে ক্ষোভ জানিয়ে স্থানীয়রা বলছেন- যদি সত্যিই ওই বৃদ্ধার সন্তানরা বা স্বজনরা তাকে ফেলে যায়, তাহলে তার সন্তানদের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া দরকার। একইসঙ্গে বৃদ্ধার যথাযথ চিকিৎসার দাবিও জানান তারা।