ফাঁসি কার্যকরে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তবে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করতে পারবেন সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার।
রায় প্রকাশের পর থেকে রিভিউ করার জন্য ১৫ দিন সময় পাবেন তিনি। রিভিউ নিষ্পত্তি হওয়ার পর রায় কার্যকর করতে পারবে সরকার।
এরপর সাবেক এ প্রতিমন্ত্রী শেষ সুযোগ হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার সময় পাবেন। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার সুযোগ নাকচ হয়ে গেলে সরকার যেকোন দিন দণ্ড কার্যকর করতে পারবে।
সাধারণত, রিভিউতে সাজা কমার নজির নেই।
এ বিষয়ে অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম আগে বলেছিলেন, ‘রিভিউ শুনানির পর কারো ফাঁসি বা মৃত্যুদণ্ড কমেছে, আমার জানা নেই। ইতিহাসে এমন নজির আছে বলেও আমার জানা নেই।’
উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পর এ পর্যন্ত প্রভাবশালী ৬ জনের ফাসির রায় কার্যকর করা হয়েছে। এরা হলেন, জামায়তের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, আব্দুল কাদের মোল্লা ও জামায়াতের নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলী।
জামায়াতের নায়েবে আমির দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিল নিষ্পত্তি হয়েছে। তবে মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় তিনি আমৃত্যু কারাদণ্ড ভোগ করছেন।
জামায়াতের আরেক নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামেরও মৃত্যদণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। সেই রায় প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে।