ছেলে বুড়ো সবাই এখন তীব্র শীতে কাবু হয়ে পড়ছে। তীব্র শৈত্য প্রবাহে বাসায় লেপ/কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকতেই চায় বেশিরভাগ মানুষ।
তবে কর্মজীবী মানুষের তো আর সেই সুযোগ নেই। ঘর থেকে বের হতেই হবে, অফিসে বা কাজের সন্ধানে যেতে হবে। আর সে সময়ে শীতের প্রকোপ মোকাবেলা করতে কয়েক স্তরের গরম কাপড় পরতে হয়।
তবে গরম কাপড় পরে বের হলে বা শীতে ঘরে গুটিসুটি দিয়ে শুয়ে থাকলেও অনেকের হাত পা সব সময় ঠান্ডা হয়েই থাকে। আপনি কি তেমন কেউ? তাহলে পড়ে নিন এই শীতে কিভাবে গরম রাখবেন আপনার হাত ও পা।
যে কারণে এমনটা হয়: রক্ত ও অক্সিজেন প্রবাহ কম হলে আমাদের হাতের তালু ও পা ঠান্ডা হয়ে যায়। শরীরে রক্ত প্রবাহে ব্যাঘাত থাকলে এমনটা হয়। অনেক ক্ষেত্রে অতি মাত্রায় ঠান্ডা অনুভব করলে তা রক্তস্বল্পতা, রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম, ক্রোনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম, নার্ভ ড্যামেজ, ডায়াবেটিস, হাইপোথাইরয়েডিজম ও হাইপো থারমিয়ার মতো শারীরিক সমস্যার লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়। যদি আপনি অন্যদের তুলনায় সব সময় ঠান্ডা অনুভব করেন, পর্যাপ্ত গরম কাপড় পরলেও যদি আপনার হাত ও পা গরম না হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তবে যদি মাঝে মধ্যে বা তীব্র শীতের কারণেই এমনটা হয়, তাহলে কিছু ঘরোয়া টিপস মানলে উপকার পাবেন।
গরম তেলে ম্যাসাজ করুন: হাতের তালু ও পায়ের আঙুল গরম রাখার সহজ উপায় হলো ম্যাসাজ করা। এতে করে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়বে যা হাত ও পা গরম করবে।
এপসম লবণ পানি: বাসায় যদি এপসম লবণ থাকে, তাহলে গরম পানির সাথে এপসম লবণ মিশিয়ে আপনার পা ও হাত চুবিয়ে রাখুন। এপসম লবণ আপনার শরীরে ম্যাগনেশিয়াম যোগান দেবে ও শরীর উত্তপ্ত রাখবে।
আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খান: শরীরে আয়রনের ঘাটতি থাকলে রক্তস্বল্পতা সৃষ্টি হয়, এতে হাতের তালু ও পা ঠান্ডা থাকে সব সময়। তাই রক্তস্বল্পতা সারাতে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার- খেজুর, সয়াবিন, পালং শাক, আপেল, জলপাই, কচু শাক এসব খান।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন: তীব্র শীতের কারণে হাত পা বেশি ঠান্ডা হয়ে গেলে ঘরোয়া উদ্যোগ নিতে পারেন। তবে সব সময় যদি হাত পা ঠান্ডা থাকে আর ক্লান্তিবোধ, ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমা, জ্বর থাকা, জয়েন্টে ব্যথা, হাতের তালু বা পায়ের আঙুলে ক্ষত সারতে দেরি হলে, ত্বকে র্যাশ দেখা দিলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত আপনার। আর যদি আপনার পায়ের আঙুল ধরলে ঠান্ডা অনুভব না হয়, কিন্তু ভেতরে ঠান্ডা অনুভব হয়, তাহলে তা নার্ভ ড্যামেজের লক্ষণ হতে পারে। তাই এসব ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।