২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের সহিংসতা আর বিভক্তিতে জর্জরিত হয়ে আছে লিবিয়া। গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে দেশটিতে সক্রিয় রয়েছে দুটি সরকার। এর মধ্যে রাজধানী ত্রিপোলি থেকে পরিচালিত সরকারকে সমর্থন দিয়েছে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বড় অংশ। আর দেশটির পূর্বাঞ্চল থেকে পরিচালিত জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন অপর সরকারটিকে সমর্থন দিচ্ছে মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, সৌদি আরব ও ফ্রান্স।
রাজধানী ত্রিপোলির দখল নিতে গত বছরের এপ্রিল থেকে অভিযান জোরালো করেছে হাফতার বাহিনী। সম্প্রতি তারা সর্বাত্মক অভিযান শুরুর ঘোষণা দিলে ত্রিপোলি ও আশেপাশের এলাকায় বিমান ও গোলাবর্ষণ জোরালো হয়েছে।
শনিবার রাতের ওই হামলায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ত্রিপোলির জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হামিদ বিন ওমর। এছাড়া শহরের অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের মুখপাত্র ওসামা আলী বলেছেন, তাৎক্ষণিকভাবে বেশকিছু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি লিবিয়ার গৃহযুদ্ধে সেনা মোতায়েন অনুমোদন দিয়ে একটি বিল পাস করেছে তুরস্কের পার্লামেন্ট। এর ফলে ত্রিপোলির সরকারি বাহিনীর পরামর্শক ও প্রশিক্ষক হিসেবে নন কমব্যাট (সরাসরি যুদ্ধে নিয়োজিত নয় এমন) সেনা মোতায়েন করতে পারবে তুরস্ক। আঙ্কারার এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে লিবিয়ার হাফতার বাহিনীর সমর্থক মিসর।