হোক সে পিতৃপচিয়হীন তাতেও আপত্তি নেই এসব দত্তক নিতে চাওয়াদের।
কলাপাড়ার পৌরশহরের লঞ্চঘাট সংলগ্ন রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির পুরনো ভবনের নীচে শনিবার ভোররাতে এই কন্যা সন্তানটিকে প্রসব করেন ওই পাগলী। সন্তানটির কান্না শুনতে পেয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন প্রতিবেশী হাসিনা বেগম।
কলাপাড়া হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. জুনায়েদ খান লেলিন জানান, সন্তান প্রসবের পর পাগলী ও তার কন্যা সুস্থ রয়েছে। তবে পাগলীটা চলে গেছে। কন্যা সন্তানটি হাসপাতালে হাসিনা বেগম নামের এক নারীর তত্ত্বাবধানে সুস্থ রয়েছে।
এদিকে পাগলীর প্রসব করা সন্তানটি নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিড় করছেন অনেকে। তারা বলছেন, সন্তানটিকে তারা নিজের সন্তানের মতোই লালন পালন করতে চান।
সন্তানটিকে তত্ত্বাবধানকারী হাসিনা বেগম জানান, ভাই ভাই হোটেল নামে তাদের একটি হোটেল রয়েছে। সেখানে পাগলীকে প্রতিদিন খাওয়া-দাওয়া করাতেন তারা। এ নিয়ে পাগলী তিনটি সন্তান প্রসব করেছে। প্রথমটি কন্যা, দ্বিতীয়টি পুত্র ও তৃতীয়টি কন্যা সন্তান। পাগলীর প্রসবকৃত আগের দুটিও দত্তক নিয়েছে মানুষ।
একটি সূত্র জানায়, পাগলীর বাড়ি এ কলাপাড়া উপজেলারই নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ফরিদগঞ্জ গ্রামে। তিনি কলাপাড়া রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পুরনো ভবনের নিচে রাত্রি যাপন করেন। তবে পাগলীর নাম কেউই বলতে পারছেন না। তিনি পৌরশহরে অন্ততঃ ৬/৭ বছর ধরে ঘোরাফেরা করছেন।
হাসিনা বেগমের এক পুত্রবধূ জানিয়েছেন, বিভিন্ন মাছের আড়তের মরা এবং পচা কাঁকড়া খেতেই বেশীর ভাগ সময় দেখা গেছে তাকে ।
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

