মুজিব জন্মশতবর্ষের লোগো তৈরি করেছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ। এ উপলক্ষে নির্মিত ওয়েবসাইটও তৈরি করেছে আইসিটি বিভাগ। ২০২০ সালে মুজিব জন্মশতবর্ষ পালন উপলক্ষে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতো আইসিটি বিভাগও বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিভাগটি এ উপলক্ষে জনগণের জন্য ১০০ ডিজিটাল সার্ভিস তৈরি করবে।
এ বিষয়ে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সারাজীবন মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। আমাদের মনে হয়েছে, মানুষের জন্য কাজ করলে এবং সেবা দিলে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানানো হবে। এজন্য আমরা প্রযুক্তির মাধ্যমে সরাসরি জনগণকে সেবা দেওয়া যায় এমন ১০০টি নাগরিক সেবা খুঁজে বের করেছি। এরই মধ্যে ১০টির মূল্যায়ন হয়ে গেছে। এ বছর বাকিগুলোও খুঁজে বের করে আমরা সেগুলোর ডিজিটাল ফরম্যাট তৈরি করে জনগণের জন্য অবমুক্ত করবো।’
এ উদ্যোগের ভাবনা প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এর আগে আমরা একসঙ্গে বসে আলোচনা করে ঠিক করি, কীভাবে বর্ষটি স্মরণীয় করে রাখা যায়। প্রস্তাব এসেছিল, ২০২০ সালে আমরা ১০০ ঘণ্টা অতিরিক্ত কাজ করবো, ১০০ উদ্যোক্তা তৈরি করবো, ১০০টি অ্যাপ (তাহলে ১০০ মিলিয়ন মানুষকে সেবা দেওয়া যাবে) তৈরি করবো। সবশেষ চূড়ান্ত হয় ১০০ ডিজিটাল নাগরিক সেবা তৈরি, যার মাধ্যমে সরাসরি মানুষকে সেবা দেওয়া সম্ভব।’ তিনি জানান, সব সেবা সব সময় মানুষের প্রয়োজন হয় না। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইনশৃঙ্খলা, ভূমি– এগুলো জরুরি সেবা। এগুলো নাগরিক সেবার মধ্যে প্রথমেই থাকতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ ডিসেম্বর আইসিটি বিভাগে জরুরি ১০০ নাগরিক সেবার কর্মশালা ও মূল্যায়ন পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সেই অনুষ্ঠানে প্রথম ১০টি সার্ভিসের মূল্যায়ন পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। নম্বরের ভিত্তিতে সেবাগুলো মূল্যায়ন করা হয়। যেসব সার্ভিস কম নম্বর পেয়েছে সেগুলো আরও উন্নয়নের সুযোগ থাকছে। এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘আমরা নাগরিক সেবাগুলো বাছাই করবো না। করবে মন্ত্রণালয়। ১০টি মন্ত্রণালয় তালিকার প্রথমে আছে। সেবাগুলো শুরুতেই আমরা জনগণের কাছে পাঠাবো না। তার আগে আমরা প্রিটেস্ট, টেস্ট করবো। তারপরে আমরা জনগণের কাছে পাঠাবো। যাতে এটি পরীক্ষিত সার্ভিস হয়।’
পলক বলেন, ‘পাঁচ হাজার ৮৪৫টি ডিজিটাল সেন্টার আমরা স্থাপন করতে পেরেছি। দুর্নীতি কমে এসেছে, খরচ কমে এসেছে, সময়ও কমে এসেছে। এর ফলে আমাদের র্যাং কিংয়ে উন্নতি হয়েছে। জাতিসংঘের ই-গভর্মেন্ট র্যাং কিংয়ে আমরা ১১৫তম অবস্থানে উঠে এসেছি (২০০৮ সালে ছিল ১৬২তম)। এত দ্রুত এগোনোর পরেও আমরা সন্তুষ্ট নই। এখন আমাদের লক্ষ্য, ২০২১ সালের মধ্যে দুই ডিজিটে আসতে হবে, অর্থাৎ ১০০-এর নিচে আসতে হবে। আমাদের আরও একটি লক্ষ্য আছে, আগামী ১০ বছরের মধ্যে ‘টপ-৫০’-তে আসতে হবে।’
তিনি জানান, এই সার্ভিস ডিজাইন করতে কাজ করেছে– আইসিটি বিভাগ, একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) ও বেসিস (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর সফটওয়্যার অ্যান্ড সার্ভিসেস)।
দুই হাজার ৮০০টি সরকারি সার্ভিস পাবলিক/প্রাইভেট পার্টনারশিপে করতে চান বলে জানান পলক। তিনি বলেন, ‘আমরা যে টার্গেট সেট করেছি তা পূরণ করতে হলে আমাদের “ই-গভ” (ইলেকট্রনিক গভর্মেন্ট) থেকে “এম-গভে” (মোবাইল গভর্মেন্ট) শিফট করতে হবে। এখন সেবা মানুষের দোরগোড়ায় নয়, মানুষের হাতের আঙুলে পৌঁছতে হবে। আমরা ওয়েব বেজড সেবা থেকে মোবাইল অ্যাপসভিত্তিক সেবার দিকে যাবো। দেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারের হার বাড়ছে। মানুষ এখন তার হাতের মুঠোয় সব সেবাই নয়, পুরো পৃথিবীটাই পেতে চায়। সুতরাং দেশের মানুষ যেকোনও জায়গায়, যেকোনও সময়, যেকোনও ডিভাইস থেকে যেন এসব সেবা পেতে ও ব্যবহার করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের টার্গেট ২০২০ সালে ১০০ স্ট্র্যাটেজি পূরণ করা। এই সময়ে ১০০ সার্ভিস ডিজাইন করে জনগণকে সেবাদান করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা “মাই গভ” নামে একটি সিঙ্গেল অ্যাকসেস পয়েন্ট অ্যাপ ডিজাইন করছি, যেটাতে সব অ্যাকসেস থাকবে। এই অ্যাপের মাধ্যমে সমন্বিতভাবে আমরা জনগণকে ধাপে ধাপে সেবা দিতে পারবো।’
জানা গেল, আইসিটি বিভাগ গত ১১ বছরে সরকারের ৬০০ ধরনের সার্ভিস অনলাইনে নিয়ে এসেছে। ৪০ হাজার ওয়েব সাইট জাতীয় পোর্টালে যুক্ত করা হয়েছে। বছরে ২২ লাখ ই-মিউটেশন করা সম্ভব হয়েছে। যে ৩৫ লাখ মামলা বিচারাধীন রয়েছে তার মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ ভূমিসংক্রান্ত। এর মূলে যেসব সমস্যা রয়েছে আইসিটি বিভাগ তা দূর করছে, সহযোগিতা করছে দেশের পাঁচ হাজার ৮৪৫টি ডিজিটাল সেন্টার।
এ বিষয়ে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সারাজীবন মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। আমাদের মনে হয়েছে, মানুষের জন্য কাজ করলে এবং সেবা দিলে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানানো হবে। এজন্য আমরা প্রযুক্তির মাধ্যমে সরাসরি জনগণকে সেবা দেওয়া যায় এমন ১০০টি নাগরিক সেবা খুঁজে বের করেছি। এরই মধ্যে ১০টির মূল্যায়ন হয়ে গেছে। এ বছর বাকিগুলোও খুঁজে বের করে আমরা সেগুলোর ডিজিটাল ফরম্যাট তৈরি করে জনগণের জন্য অবমুক্ত করবো।’
এ উদ্যোগের ভাবনা প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এর আগে আমরা একসঙ্গে বসে আলোচনা করে ঠিক করি, কীভাবে বর্ষটি স্মরণীয় করে রাখা যায়। প্রস্তাব এসেছিল, ২০২০ সালে আমরা ১০০ ঘণ্টা অতিরিক্ত কাজ করবো, ১০০ উদ্যোক্তা তৈরি করবো, ১০০টি অ্যাপ (তাহলে ১০০ মিলিয়ন মানুষকে সেবা দেওয়া যাবে) তৈরি করবো। সবশেষ চূড়ান্ত হয় ১০০ ডিজিটাল নাগরিক সেবা তৈরি, যার মাধ্যমে সরাসরি মানুষকে সেবা দেওয়া সম্ভব।’ তিনি জানান, সব সেবা সব সময় মানুষের প্রয়োজন হয় না। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইনশৃঙ্খলা, ভূমি– এগুলো জরুরি সেবা। এগুলো নাগরিক সেবার মধ্যে প্রথমেই থাকতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ ডিসেম্বর আইসিটি বিভাগে জরুরি ১০০ নাগরিক সেবার কর্মশালা ও মূল্যায়ন পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সেই অনুষ্ঠানে প্রথম ১০টি সার্ভিসের মূল্যায়ন পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। নম্বরের ভিত্তিতে সেবাগুলো মূল্যায়ন করা হয়। যেসব সার্ভিস কম নম্বর পেয়েছে সেগুলো আরও উন্নয়নের সুযোগ থাকছে। এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘আমরা নাগরিক সেবাগুলো বাছাই করবো না। করবে মন্ত্রণালয়। ১০টি মন্ত্রণালয় তালিকার প্রথমে আছে। সেবাগুলো শুরুতেই আমরা জনগণের কাছে পাঠাবো না। তার আগে আমরা প্রিটেস্ট, টেস্ট করবো। তারপরে আমরা জনগণের কাছে পাঠাবো। যাতে এটি পরীক্ষিত সার্ভিস হয়।’
পলক বলেন, ‘পাঁচ হাজার ৮৪৫টি ডিজিটাল সেন্টার আমরা স্থাপন করতে পেরেছি। দুর্নীতি কমে এসেছে, খরচ কমে এসেছে, সময়ও কমে এসেছে। এর ফলে আমাদের র্যাং কিংয়ে উন্নতি হয়েছে। জাতিসংঘের ই-গভর্মেন্ট র্যাং কিংয়ে আমরা ১১৫তম অবস্থানে উঠে এসেছি (২০০৮ সালে ছিল ১৬২তম)। এত দ্রুত এগোনোর পরেও আমরা সন্তুষ্ট নই। এখন আমাদের লক্ষ্য, ২০২১ সালের মধ্যে দুই ডিজিটে আসতে হবে, অর্থাৎ ১০০-এর নিচে আসতে হবে। আমাদের আরও একটি লক্ষ্য আছে, আগামী ১০ বছরের মধ্যে ‘টপ-৫০’-তে আসতে হবে।’
তিনি জানান, এই সার্ভিস ডিজাইন করতে কাজ করেছে– আইসিটি বিভাগ, একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) ও বেসিস (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর সফটওয়্যার অ্যান্ড সার্ভিসেস)।
দুই হাজার ৮০০টি সরকারি সার্ভিস পাবলিক/প্রাইভেট পার্টনারশিপে করতে চান বলে জানান পলক। তিনি বলেন, ‘আমরা যে টার্গেট সেট করেছি তা পূরণ করতে হলে আমাদের “ই-গভ” (ইলেকট্রনিক গভর্মেন্ট) থেকে “এম-গভে” (মোবাইল গভর্মেন্ট) শিফট করতে হবে। এখন সেবা মানুষের দোরগোড়ায় নয়, মানুষের হাতের আঙুলে পৌঁছতে হবে। আমরা ওয়েব বেজড সেবা থেকে মোবাইল অ্যাপসভিত্তিক সেবার দিকে যাবো। দেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারের হার বাড়ছে। মানুষ এখন তার হাতের মুঠোয় সব সেবাই নয়, পুরো পৃথিবীটাই পেতে চায়। সুতরাং দেশের মানুষ যেকোনও জায়গায়, যেকোনও সময়, যেকোনও ডিভাইস থেকে যেন এসব সেবা পেতে ও ব্যবহার করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের টার্গেট ২০২০ সালে ১০০ স্ট্র্যাটেজি পূরণ করা। এই সময়ে ১০০ সার্ভিস ডিজাইন করে জনগণকে সেবাদান করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা “মাই গভ” নামে একটি সিঙ্গেল অ্যাকসেস পয়েন্ট অ্যাপ ডিজাইন করছি, যেটাতে সব অ্যাকসেস থাকবে। এই অ্যাপের মাধ্যমে সমন্বিতভাবে আমরা জনগণকে ধাপে ধাপে সেবা দিতে পারবো।’
জানা গেল, আইসিটি বিভাগ গত ১১ বছরে সরকারের ৬০০ ধরনের সার্ভিস অনলাইনে নিয়ে এসেছে। ৪০ হাজার ওয়েব সাইট জাতীয় পোর্টালে যুক্ত করা হয়েছে। বছরে ২২ লাখ ই-মিউটেশন করা সম্ভব হয়েছে। যে ৩৫ লাখ মামলা বিচারাধীন রয়েছে তার মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ ভূমিসংক্রান্ত। এর মূলে যেসব সমস্যা রয়েছে আইসিটি বিভাগ তা দূর করছে, সহযোগিতা করছে দেশের পাঁচ হাজার ৮৪৫টি ডিজিটাল সেন্টার।