সড়কে প্রাণহানি বাংলাদেশে প্রতিদিনের ঘটনা। প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষের। ‘নিরাপদ সড়ক চাই’য়ের (নিসচা’র) পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৯ সালে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছে ৫ হাজার ২২৭ জনের। যা আগের বছরের তুলনায় ৭৮৮ জন বেশি।
শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে নিরাপদ সড়ক চাই-নিসচা’র ২০১৯ সালের সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদনে এই চিত্র ওঠে আসে। পুলিশ এবং প্রশাসনের অবহেলায় মহাসড়কে দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েছে বলে জানান নিচসা চেয়ারম্যান।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘২০১৯ সালে সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে মোট ৪ হাজার ৭০২টি। নিহত হন ৪ হাজার ৩৫৬ জন এবং আহত হন ৬ হাজার ৯৫৩ জন। তবে হাসপাতালে ভর্তির পর ও হাসপাতাল থেকে রিলিজ হওয়ার পর আনুমানিক মৃত্যু হয়েছে ২০ শতাংশ অর্থাৎ ৮৭১ জনের। সব মিলিয়ে ২০১৯ সালের মোট নিহতের সংখ্যা ৫ হাজার ২২৭ জন। এছাড়া রেলপথে ১৬২টি দুর্ঘটনার ঘটনায় নিহত হন ১৯৮ জন এবং আহত হন ৩৪৭ জন। অন্যদিকে নৌ দুর্ঘটনার সংখ্যা ৩০টি এতে নিহত হয়েছেন ৬৪ জন এবং আহত জন ১৫৭ জন।’
নতুন সড়ক পরিবহন আইন নিয়ে একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করেন ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, নতুন পরিবহন আইন নিয়ে চালকদের মাঝে ভুল ধারণা দিয়েছে মালিকরা।
নতুন সড়ক পরিবহন আইন গত বছরের ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হচ্ছে বলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে ২৩ অক্টোবর এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। এর আগে ৮ অক্টোবর ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ এর গেজেট জারি করা হলেও তার কার্যকারিতা ঝুলে ছিল।
পরে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের টানা আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ‘দুর্বলতার কারণে’ এই আইন বাস্তবায়ন কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করা হচ্ছে বলে ২৪ নভেম্বর জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
এ আইন বাস্তবায়ন করতে নতুন করে চার সচিবের নেতৃত্বে চারটি উপকমিটি করা হয়েছে। দুই মাসের মধ্যে তারা সুপারিশ ও অ্যাকশন প্ল্যানসহ প্রতিবেদন জমা দেবেন।