২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ২:৪৯

আশ্বাসে কাজে ফিরলেন খুলনার পাটকল শ্রমিকরা

কয়েক দফা আন্দোলন ও আমরণ অনশনের পর সরকারের পক্ষ থেকে মজুরি কমিশন বাস্তবায়নের আশ্বাস পেয়ে কাজে ফিরেছেন পাটকল শ্রমিকরা। আগামী ১৬ জানুয়ারির মধ্যে তাদের দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাসের পর প্রত্যাহার করা হয় অনশন কর্মসূচি। ফলে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে খুলনার শিল্পাঞ্চল এলাকায়।

শনিবার ভোরে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেয়ায় উৎপাদন শুরু হয়েছে পাটকলে।

মিলগুলো হচ্ছে- ক্রিসেন্ট জুট মিল, খালিশপুর জুট মিল, দৌলতপুর জুট মিল, প্লাটিনাম জুবিলি জুট মিল, স্টার জুট মিল, আলিম জুট মিল ও ইস্টার্ন জুট মিল।

রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. মুরাদ হোসেন বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে মজুরি কমিশনের স্লিপ প্রদান করা হবে- এমন আশ্বাসে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি। ১৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) মজুরি কমিশনের স্লিপ প্রদান করা হবে। ফলে শনিবার ভোর ৬টা থেকে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন।

মুরাদ হোসেন বলেন, দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পাটকল খুলনায়। খুলনার সাতটি পাটকলে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক রয়েছেন। যারা সবাই কাজে যোগদান করেছেন। ফলে শিল্পাঞ্চলে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে।

জানা গেছে, আমরণ অনশনের সময় খুলনাঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৯ পাটকলের মধ্যে যশোরের জেজেআই ও কার্পেটিং জুট মিল বাদে বাকি ৭টি পাটকলের উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। এ পাটকলগুলোতে প্রতিদিন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২৭২ দশমিক ১৭ মেট্রিক টন। সেখানে চালু থাকা ওই দুটি পাটকলে উৎপাদন হয়েছে মাত্র ৮৬ দশমিক ৩৯ মেট্রিক টন। পাটকলগুলোতে প্রতিদিনের উৎপাদিত পণ্যের বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। সে হিসেবে শ্রমিকদের পাঁচদিনের অনশনে পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

শ্রমিকদের দাবি নিয়ে গত ১৫, ২২ ও ২৬ ডিসেম্বর তিন দফা বৈঠক হলেও তাতে কোনো সুফল আসেনি। সর্বশেষ ২৬ ডিসেম্বরের বৈঠকে মজুরি কমিশন বাস্তবায়নের বিষয়ে কোনো সুরাহা না হওয়ায় ওই দিন ২৯ ডিসেম্বর দুপুর থেকে আবারও ১১ দফা দাবিতে অনশন করার ঘোষণা দেন শ্রমিক নেতারা। সেই অনুযায়ী শ্রমিকরা অনশন কর্মসূচি পালন শুরু করেন।

প্রকাশ :জানুয়ারি ৪, ২০২০ ১:৫২ অপরাহ্ণ