পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ। নিউ সাউথ ওয়েলসে বৃহস্পতিবার থেকে সপ্তাহব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
অস্ট্রেলিয়ায় গত সেপ্টেম্বরে দাবানল শুরু হওয়ার পর নিউ সাউথ ওয়েলস ও ভিক্টোরিয়ায় এ পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আগুনে পুড়ে গেছে ১২শ ঘর-বাড়ি। এছাড়া ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছে।
নিউ সাউথ ওয়েলসে উপকূলের ‘ট্যুরিস্ট লিভ জোন’ থেকে হাজার হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছেন। একে বলা হচ্ছে, ওই অঞ্চলে এযাবৎকালের ‘সবচেয়ে বড় স্থানান্তর কার্যক্রম’। আগুনের কারণে ওই এলাকায় জরুরি সেবাসমূহ বন্ধ হয়ে গেছে।
অস্ট্রেলিয়ার ডাক বিভাগ ‘পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত’ সব ধরনের ডাক সরবরাহ স্থগিত ঘোষণা করেছে। ভিক্টোরিয়া ও নিউ সাউথ ওয়েলসের দুর্গম এলাকার অনেক স্থানে দমকল বিভাগ নাও পৌঁছাতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, অত্যধিক তাপমাত্রা এবং প্রচণ্ড বাতাসের কারণে শনিবার থেকে দাবানলের বিস্তৃতি আরও বাড়তে পারে। এতে লোকজন ও ঘরবাড়ির জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
বৃহস্পতিবার সিডনি ও ক্যানাবেরায় ফেরার গাড়ির দীর্ঘ সারির চাপে মহাসড়কগুলোকে স্থবির হয়ে পড়তে দেখা গেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, একসঙ্গে অনেক লোকজন সিডনি ও ক্যানাবেরায় ফিরতে শুরু করায় গাড়ির দীর্ঘ সারি লক্ষ্য করা যায়। এতে মহাসড়কগুলো স্থবির হয়ে পড়তে দেখা গেছে। এছাড়া বেতামেনস বে শহরের পেট্রল পাম্পগুলোতেও গাড়ির দীর্ঘ সারি ছিল।
আগুনের কারণে এরই মধ্যে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার একটি মহাসড়কের ৩৩০ কিলোমিটারের মতো অংশ বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।