২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৭:৩৯

গৃহবধূকে গাছে বেঁধে ইউপি সদস্যের নির্যাতন : অভিমানে আত্মহত্যা

রাজশাহীর বাগমারায় এক ইউপি সদস্যের নির্যাতনের কারণে আক্তারুন নেছা (৩৮) নামে এক গৃহবধূ ক্ষোভে আর অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার সকালে বাগমারা থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বুধবার রাতে এ ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে বাগমারা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার পর রশি দিয়ে গাছে বেঁধে ওই গৃহবধূকে নির্যাতন করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বড় বিহানালী ইউনিয়নের সদস্য এবং বাগান্না গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মজিদের সঙ্গে আত্মহননকারী গৃহবধূ আক্তারুন নেছার পরিবারের সদস্যদের দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ক্ষেতের ফসল নষ্টের অভিযোগ এনে আবদুল মজিদ এবং তার সহযোগীরা আক্তারুন নেছাকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান।

এরপর এক গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে দুই ঘন্টাব্যাপী নির্যাতন করেন ইউপি সদস্য মজিদ এবং তার সহযোগীরা।

খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন। ঘটনানাটি জানাজানি হলে আক্তারুন নেছা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। পরে বুধবার সকাল ১০টার দিকে তিনি গ্রামের এক দোকান থেকে কীটনাশক কিনে তা পান করেন। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত স্বজনরা বাগমারা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন। দুপুরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

আক্তারুন নেছার ভাই সাইফুল ইসলামের অভিযোগ, তার বোনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন এবং লাঞ্ছিত করা হয়েছে। একারণে তিনি ক্ষোভে আর অভিমানে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন।

ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, আত্মহত্যায় প্ররোচণা এবং নির্যাতনের অভিযোগে ইউপি সদস্য আবদুল মজিদের নাম উল্লেখসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার পর থেকে মজিদ এবং তার সহযোগীরা পলাতক রয়েছেন।

তাদের গ্রেপ্তার জন্য পুলিশের কয়েক টিম মাঠে কাজ করছে। আক্তারুন নেছার মরদেহ রাজশাহী মেডিক‌্যাল কলেজের মর্গে রয়েছে।  ময়নাতদন্তের পর তা স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রকাশ :জানুয়ারি ২, ২০২০ ৩:২৩ অপরাহ্ণ