গত সপ্তাহে ইরাকের সামরিক বাহিনীর ঘাঁটিতে ইরান সমর্থিত কাতাইব হিজবুল্লাহ হামলা চালালে এক মার্কিন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। এর প্রতিশোধ নিতে রোববার কাতাইব হিজবুল্লাহর ঘাঁটি লক্ষ্য করে মার্কিন যুদ্ধবিমান থেকে হামলা চালানো হয়। ইরাকের রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে যখন প্রতিদিনই সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হচ্ছে সেখানে এই হামলার জেরে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে নতুন করে সম্পর্কে টানপোড়েন দেখা দিতে পারে।
বিক্ষোভের মুখে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের কখন দূতাবাস থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে তা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তা।
রয়টার্স জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা দূতাবাসের প্রধান ফটক লক্ষ্য করে পাথর ছুড়েছে। এ সময় তারা ‘আমেরিকা না, না…ট্রাম্প না…না’ বলে স্লোগান দেয়। দূতাবাসের ভেতরে বিক্ষোভকারীদের প্রবেশ ঠেকাতে বাইরে বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ইরান সমর্থিত আসাইব আহল আল-হকের নেতা কাইস আল খাজালিসহ শিয়া বিভিন্ন মিলিশিয়া বাহিনীর শীর্ষ নেতারা ছিলেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ভবনের চারপাশে থাকা নজরাদির ক্যামেরা পাথর ও ইট দিয়ে ভেঙ্গে ফেলে।
কাইস আল খাজালি বলেছেন, ‘ইরাকে আমেরিকানরা অবাঞ্চিত। তারা হচ্ছে শয়তানির উৎস এবং আমরা তাদের বিদায় চাই’।