১৯৯১ সালে সেনা শাসনের অবসান হওয়ার পর থেকে সোমালিয়াতে সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। প্রেসিডেন্ট মোহামেদ সিয়াদ বারে ক্ষমতাচ্যুত হলে দেশের যুদ্ধবাজ গোত্রপতিরা হানহানিতে জড়িয়ে পড়লে সোমালিয়া কার্যত একটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়। ২০১২ সালে দেশটিতে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার দায়িত্ব নেয়। এরপর থেকে আল শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠীকে বাধাগ্রস্ত করা সম্ভব হলেও সোমালিয়ার গ্রামীণ এলাকায় তারা এখনও তৎপর।
শনিবার সকালে মোগাদিসুতে গাড়ি বোমা হামলার পর বিশাল কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুসেন বলেন, ‘বিস্ফোরণটি ছিল ভয়াবহ। ২০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করতে পারি। আরও অনেকে আহত রয়েছে। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। দেশটির অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা ৬১ জন ছাড়িয়েছে। এছাড়া আরও ৫১ জন আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী আহমেদ মোয়ালিম ওয়ারসেম বলেন, ‘আমি ২২টি মরদেহ গুনেছি। তাদের সবাই বেসামরিক নাগরিক। ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। এটা একটা কালোদিন’।
বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে মোগাদিসুর মেয়র ওমর মোহাম্মদ সাংবাদিকদের বলেছেন, বিস্ফোরণে অন্তত ৯০ জন আহত হয়েছে বলে সরকার নিশ্চিত করছে। এদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী।