আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ক’দিন আগে ভারতের গুরগাঁওয়ের ঘটনায় শিউরে উঠেছিলেন সাধারণ মানুষ। ১৯ বছরের যুবতীকে ধর্ষণ ও তাঁর শিশুকে খুন করে চম্পট দিয়েছিল তিন দুষ্কৃতকারী। রক্তাক্ত অবস্থায় সন্তানের মৃতদেহ নিয়ে মেট্রোয় সফর করতে হয়েছিল ওই নির্যাতিতাকে। সব দেখেও মুখ ফিরিয়ে ছিলেন দিল্লিবাসী। পরে গ্রেপ্তার করা হয় তিনজনকে।
সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের শিরোনামে উঠে এলো আরও এক ধর্ষণের খবর। এক মহিলা এবং তাঁর মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল পুলিশের ছেলের বিরুদ্ধে।
বাবা পুলিশ। তাই কুকর্ম করলেও বিপদে পড়তে হবে না। এমন মানসিকতা নিয়েই গত তিন সপ্তাহ ধরে এক বিধবা মহিলা এবং তাঁর ১৫ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে যাচ্ছিল দিল্লি পুলিশের এক এসআইয়ের ছেলে। অবশেষে শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ধর্ষণের ঘটনা ভিডিও করে মহিলার মুখ বন্ধ রাখতে চেয়েছিল অভিযুক্ত আশিস কুমার। পুলিশ জানিয়েছে, আশিসের মোবাইলে এমন ১০টি ভিডিও ক্লিপ পাওয়া গিয়েছে। সবক’টি ভিডিওই ৩৫ বছরের ওই নারীর বাড়ির ভেতর রেকর্ড করা।
পুলিশ জানায়, ওই নারীকে ধর্ষণের পর যখন তাঁর ১৫ বছরের মেয়ের দিকেও হাত বাড়ায় আশিস, তখনই আর সহ্য করতে পারেননি তিনি। সাহস করে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বিএ শেষ বর্ষের ছাত্র আশিস কুমারকে।
দীর্ঘদিন ধরেই ওই নারীর ওপর নজর ছিল দিল্লির গোকলপুরের বাসিন্দা আশিসের। তাঁর সঙ্গে আলাপ জমিয়ে বাড়ির ঠিকানা জোগাড় করেছিল সে। কিন্তু আশিসের কু-মতলবের কথা তিনি প্রথমে বুঝতে পারেননি। পরে তাঁর বাড়ি আসা শুরু করলে ঘটে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা। গত বছরই স্বামীহারা হয়েছেন তিনি। মেয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী। গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত তাঁরা। এদিকে, সংবিধানের ৩৭৬ ও ৫০৬ নম্বর ধারায় মামলা রুজু হয়েছে পুলিশপুত্রর বিরুদ্ধে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএম