জাপানের একটি হাইস্কুলের ছাত্র বাংলাদেশি রাহাত মো. মাজিদুল হোসেন। হুইল চেয়ারে চলাফেরা করেও সে ভিডিও গেসমে অসাধারণ পারদর্শী হয়ে উঠায় দেশটির একটি নামকরা কোম্পানি তাকে শিগগিরই নিয়োগ দিতে যাচ্ছে।
বিশ্বের সর্বাধিক পত্রিকা জাপানের আসাহি সিম্বুন রোববার ১৮ বছর বয়সী এই বাংলাদেশির সাফল্যকে প্রধান শিরোনাম করে। পত্রিকাটি জানায়, শারীরিক প্রতিবন্ধীতাকে মোকাবিলার পাশাপাশি জাপানি ভাষার প্রতিবন্ধীকতা কাটিয়ে দক্ষতা অর্জন করায় রাহাত ‘ই-স্পোর্টস প্যারাথলিট’ পদে যোগ দিবে।
আসাহি সিম্বুন জানাচ্ছে, রাহাত বাংলাদেশে ৩ বছর বয়সে একটি দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর থেকে হুইল চেয়ারে চলাফেরা করছে। কোনো স্কুলে ভর্তি হতে না পারায় দেশে রাহাত গৃহশিক্ষকের কাছে পড়াশোনা চালায়। ১০ বছর আগে তার বাবা-মা চাকরিসূত্রে জাপান গেলে তাদের সঙ্গে রাহাতও যায়। সেখানে প্রথমবারের মত স্কুলে ভর্তি হয়। যদিও জাপানি ভাষা না জানায় পড়াশোনা শুরু হয় বেসিক ইংরেজিতে।
জাপানি ভিডিও গেমস পাজল ও ড্রাগনের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পর খেলা শুরু করে বাবার স্মার্টফোনে। তারপর পায়ে অপারেশনের সময় দুই মাস হাসপাতালে থাকায় মায়ের কিনে দেয়া ভিডিও গেমস খেলতে খেলতে এ জগতে দক্ষ হয়ে উঠে। এর মধ্যে তার শারীরিক পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে হুইল চেয়ারে বাস্কেট খেলতে শুরু করে। তবে পরে মূল দলে স্থান না পাওয়া সে এক বন্ধুর বাসায় ভিডিও গেমসেই বেশি সময় দিতে থাকে।
দুই বছর আগে সে ২০১৭ সালে হাইস্কুলে ঢুকে। এ সময়ই যোগ দেয় অনলাইন ভিডিও গেমস ক্লাবে। জনপ্রিয় ভিডিও গেম লিগ অব লিজেন্ড যেটাতে পাঁচজনে একসঙ্গে খেলে একজন আরেকজন সহায়তা করে শত্রুর ভূখণ্ড দখলে। এই অনলাইন গেমসে দক্ষ হয়ে উঠে রাহাত। সেইসঙ্গে জাপানি ভাষা সাবলিলভাবে বলতে দক্ষ হয়ে উঠে। এরমধ্যে সে খণ্ডকালীন চাকরিও পায় টেলিমার্কেটার হিসেবে।