নুর বলেন, ‘সাদ্দাম তো ডাকসু নেতা, কিন্তু আপনি (সঞ্জীত) কে?’
জবাবে সঞ্জীত বলেন, ‘আমি কে, আমাকে প্রশ্ন করছিস? তোকে দেখাচ্ছি মজা। তুই এখনই হাড়ে হাড়ে টের পাবি আমি কে?’
পরে সাদ্দাম ৫ মিনিটের মধ্যে নুরকে তার কক্ষ থেকে বের হওয়ার আল্টিমেটাম দিয়ে সেখান থেকে চলে যান। এর পরপরই সঞ্জীব ও সাদ্দামের প্রায় শতাধিক অনুসারী ভিপির কক্ষে ঢুকে লাইট বন্ধ করে হাতুড়ি, রড, লাঠি ও বাঁশ দিয়ে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে নুরের সংগঠনের নেতাকর্মীরা দরজা বন্ধ করে দেয়। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আধা ঘণ্টা ধরে দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন। ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে তারা এক সাংবাদিকের কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নেয়।ঘটনার প্রায় এক ঘণ্টা পর প্রক্টর গোলাম রব্বানী ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি দরজা খুলতে বলার পর প্রথমে ভিপি নুর দরজা না খুললেও পরে খুলে দেন।
রবিবার বেলা ২টার দিকে ভিপি নুরসহ ছয়জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়৷ তাদের অ্যাম্বুলেন্সে তোলার সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। এখনও ছাত্রলীগের তিন শতাধিক নেতাকর্মী ডাকসুর সামনে অবস্থান করছে।
প্রক্টর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বহিরাগত নিয়ে ভিপি ডাকসুর কার্যালয়ে প্রবেশ করেছে। সে আমাদের আগে অবহিত করেনি। তাকে আমরা বারবার অনুরোধ করেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ভালো রাখতে।’
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে আমরা দেখেছি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সঙ্গে ভিপি নুরের ঝামেলা চলছে৷ আজকে ভিপি নুর বহিরাগতদের নিয়ে ডাকসুতে প্রবেশ করেন। এতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। আমরা উভয়পক্ষকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছি।’
ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘বহিরাগত নিয়ে ভিপি ডাকসুতে অবস্থান করেছেন। তার অনুসারীদের সঙ্গে অস্ত্র ছিল। নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। আমরা আর ভিপি নুরকে ডাকসুতে প্রবেশ করতে দেবো না।’
আহতরা হলেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হাসান, রাশেদ খান, মশিউর রহমান। এছাড়াও নাজমুল, মামুন, সোহেল, জাহিদ, বিপ্লব, সোহেল, ইমরান, আরিফ, সুমন, আমিনুল, মেহেদী, আরিফুল ইসলামসহ মোট ১৭ জন নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে৷ আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।