আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০০৭ সালে সংবিধান লঙ্ঘন করায় ৭৬ বছর বয়সী পাকিস্তানের সাবেক একনায়ক পারভেজ মোশাররফকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করার আগে পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফ মৃত্যুবরণ করলে তার মরদেহ রাস্তায় তিন দিন ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির একটি বিচারক প্যানেলের প্রধান।
পারভেজ মোশাররফকে নিয়ে যখন এমন সব নিদের্শ দিয়েছেন পাকিস্তানের আদালত তখন তাকে ভারতের নাগরিকত্ব দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন এক বিজেপি নেতা।
ধর্মভিত্তিক নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে ভারতে চলমান বিক্ষোভের মধ্যেই নিজের টুইটারে এমন প্রস্তাব দিলেন ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা সুব্রামানিয়ান স্বামী।
বৃহস্পতিবার এক টুইটার পোস্টে সুব্রামানিয়ান স্বামী লিখেছেন, আমরা পারভেজ মোশাররফকে দ্রুত নাগরিকত্ব দিতে পারি কারণ তিনি দিল্লির একটি অঞ্চল দরিয়াগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সমস্ত স্ব-স্বীকৃত হিন্দুদের বংশধররা নতুন সিএএ-তে যোগ্যতা অর্জন করবে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অনুসারে, হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যরা যারা ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ পর্যন্ত এদেশে এসেছেন তাদের অবৈধ অভিবাসী হিসেবে গণ্য করা হবে না এবং তাদেরকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেয়া হবে।
এছাড়াও দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, নাগরিকত্ব আইনের ২০০৪ সালের সংশোধনী অনুসারে যারা ১৯৮৭ সালের ১ জুলাই ভারতে জন্মগ্রহণ করেছেন বা যাদের বাবা-মা এই বছরের আগে এই দেশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তারা আইন অনুযায়ী ভারতীয় বলেই বিবেচিত হবেন।
প্রসঙ্গত একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ১৯৯৯ সালে তিনি ক্ষমতা দখল করেছিলেন পারভেজ মোশাররফ। তিনি বর্তমানে দুবাইয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে তার মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে জেনারেলকে গ্রেফতার করতে নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
জানা গেছে, মোশাররফের আইনজীবী এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের আইনমন্ত্রী ফারোগ নাসিম বলেন, ওই তিন সদস্যের বিচারক প্যানেলের প্রধানকে অপসারণ করতে চাচ্ছে সরকার। বিচারক ওয়াকার আহমেদ শেঠ বিচারিক বিধিমালার লঙ্ঘন করেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের জবাব হচ্ছে, এ ধরনের বিচারক হাইকোর্ট কিংবা সুপ্রিমকোর্টে বিচার পরিচালনার কর্তৃত্ব রাখেন না। তিনি অযোগ্য।
সূত্র: খালিজ টাইমস