দেশজনতা অনলাইন : মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে মনে করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ‘বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের (রোহিঙ্গা) নাগরিকদের বাংলাদেশে অবস্থান: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত তিন বার চেষ্টা করেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন করা যায়নি। কারণ রোহিঙ্গাদের ফেরত না নিতে মিয়ানমানের অনড় অবস্থান। পার্শ্ববর্তী দেশগুলো তাদের কোনো চাপ দিচ্ছে না। আমাদের সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু মিয়ানমারের কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সফল হচ্ছে না।’
রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের সৃষ্ট কোনো সমস্যা নয়, বরং বাংলাদেশের উপর চাপিয়ে দেওয়া একটি সমস্যা বলে উল্লেখ করেন ইফতেখারুজ্জামান।
তবে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কূটনৈতিক ব্যর্থতা উল্লেখ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের কূটনৈতিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের কারণে বহুমুখী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন বাংলাদেশ। আর্থিক চ্যালেঞ্জ তার মধ্যে অন্যতম। রোহিঙ্গাদের কারণে এখন পর্যন্ত দেশের ২ হাজার ৩ শত ৮ কোটি টাকা প্রত্যক্ষ ব্যয় হয়েছে। এর ফলে ভূরাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সংকট সৃষ্টি করেছে। মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে নিয়মিত ঘুষ,অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা ঘটছে।’
মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বিকাশমান শিল্পের মত উল্লেখ করে বলেন, ‘জাতীয়, সরকারি, বেসরকারি, আন্তর্জাতিক ও দাতা সংস্থার মধ্যে সিন্ডিকেট তৈরী হয়েছে।’
মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলে সে দেশের সেনাবাহিনী জনসম্মুখে মানুষ হত্যা করেছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা গণহত্যা বা এ ধরণের ঘটনা প্রতিরোধের চেষ্টা না করে প্রতিকারের চেষ্টা করে। সর্বশেষ এ সমস্যা নিরসনে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই বলেও জানান তিনি।