হামলাকারী ২৮ বছরের উসমান খান একটি ভুয়া সুইসাইড ভেস্ট বা বিস্ফোরকযুক্ত পোশাক পরে এ হামলা চালায়। বেশ কয়েকজনকে ছুরিকাঘাতের পর এক পর্যায়ে সে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছেন কর্মকর্তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা হামলাকারীকে শনাক্ত করতে সম্ভব হয়েছে। সে স্ট্যাফোর্ডশায়ার এলাকার বাসিন্দা। বছরখানেক আগে শর্তসাপেক্ষে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিল সে। মুক্তির জন্য একটি ইলেক্ট্রনিক ট্যাগ পরিধান করা এবং নিজের চলাফেরায় কর্তৃপক্ষের নজরদারির বিষয়ে সম্মত হয়েছিল সে।
শুক্রবার দুপুরে লন্ডন ব্রিজে বাসের মধ্যে আটকা পড়েন আমান্ডা হান্টার নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে বাস থেমে গেলো। গোলমাল শুনে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে এক ব্যক্তির দিকে এগিয়ে যেতে দেখলাম। মনে হলো তার হাতে কিছু একটা আছে, কিন্তু আমি শতভাগ নিশ্চিত নই। পরে এক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে গুলি করে।’
টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় পুলিশ ও জরুরি বিভাগের কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
লন্ডনের পুলিশ কমিশনার ক্রেসিডা ডিক বলেছেন, আমাদের শহরটি আবারও সন্ত্রাসবাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। এ ঘটনায় আমি খুবই মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ।
লন্ডন ব্রিজে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৭ সালের জুনে তিন জঙ্গি ব্রিজটিতে ভিড়ের মধ্যে ভ্যান চালিয়ে দিয়ে এবং ছুরিকাঘাতে আটজনকে হত্যা করে।
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

