১১ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছেন নৌ শ্রমিকরা। এতে সারা দেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ধর্মঘট শুরু হয়। নৌযান শ্রমিকদের আটটি সংগঠনের জোট বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন এ ধর্মঘটের ডাক দেয়। এ নিয়ে গত এক বছরে তিনবার ধর্মঘটের ডাক দিল ফেডারেশন।
শনিবার সকালে সদরঘাট থেকে যাত্রী কিংবা পণ্যবাহী কোনো ধরনের লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
নেতাদের দাবি, নৌযান মালিক ও সরকার বারবার ওয়াদা ভঙ্গ করায় তারা ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এবার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করবেন না।
ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ১১ দফা উপস্থাপন করা হলেও তাদের মূল দাবি, ২০১৬ সালে প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী সর্বস্তরের শ্রমিকদের বেতন দিতে হবে। ফেডারেশনের ১১ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধ, ২০১৬ সালে ঘোষিত গেজেট অনুযায়ী নৌযানের সর্বস্তরের শ্রমিকদের বেতন প্রদান, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস প্রদান, মালিক কর্তৃক খাদ্য ভাতা প্রদান, নৌযান শ্রমিকদের সমুদ্র ও রাত্রিকালীন ভাতা নির্ধারণ, কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ।
এদিকে দেশের পরিবহন ও নৌযান শ্রমিকদের প্রভাবশালী সংগঠন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট এই ধর্মঘটে সমর্থন জানিয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে পাঠানো বিবৃতিতে শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন এবং সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল নৌযান শ্রমিকদের দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানানোর প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের পথে দাবি আদায় না হওয়ায় শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে নৌ ধর্মঘট আহ্বান করতে বাধ্য হয়েছেন শ্রমিকরা।