গাইবান্ধা প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন স্বজনরা। একই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে রায় কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন তারা। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে রায় ঘোষণার পর আদালত চত্বরে তাৎক্ষণিকভাবে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন নিহতের বড় বোন মামলার বাদী ফাহমিদা কাকলি বুলবুল ও স্ত্রী খুরশিদ জাহান স্মৃতি।
ফাহমিদা কাকলি বুলবুল বলেন, ‘নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে পলাতক আসামিকে গ্রেফতারসহ দ্রুত এ রায় কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।’ একই সঙ্গে হত্যা মামলার রায় দ্রুত হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী, তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
লিটনের স্ত্রী খুরশিদ জাহান স্মৃতি বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে জানেন। গণতন্ত্র ও আইনের শাসন এবং বিচার বিভাগ স্বাধীন হওয়ায় আজ লিটন হত্যা মামলায় ন্যায় বিচার পেয়েছি। আমি চাই, যতো দ্রুত সম্ভব আসামিদের ফাঁসি কার্যকর হোক। এই রায় কার্যকরে যত বিলম্ব হবে ততোই আমাদের আর এলাকাবাসীর কষ্ট বাড়বে। মানুষের কল্যাণে নিবেদিত ও জনপ্রীয় ছিলেন লিটন। অকালে তার চলে যাওয়ায় পুরো পরিবারের মধ্যে আজও শোকের ছায়া। তার মৃত্যুতে শুধু সুন্দরগঞ্জ-গাইবান্ধা নয়, দেশের মানুষ তাকে এখনও শ্রদ্ধায় স্মরণ করে।’
এদিকে এই রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শফিকুল ইসলাম শফিক। তিন বলেন, ‘আলোচিত লিটন হত্যা মামলা ১৮ মাস চলার পর সাত আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আসামিরা পরিকল্পিতভাবে পরস্পর জড়িত থেকে হত্যাকাণ্ড ঘটায়। সব সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালতের এই রায় শুধু সন্তুষ্টি প্রকাশ নয়, এটি দেশের একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে ক্ষমতাসীন দলের এমপি লিটন হত্যা মামলায় সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ের সময় ছয় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। চার্জশিটে অভিযুক্ত আট আসামির মধ্যে মৃত একজনকে ছাড়া বাকিদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া এক আসামি এখনও পলাতক রয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সাবেক এমপি আবদুল কাদের খাঁন, তার পিএস শামছুজ্জোহা, গাড়িচালক হান্নান, ভাতিজা মেহেদি, গৃহকর্মী শাহীন, রানা ও চন্দন কুমার। হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আট আসামির মধ্যে কসাই সুবল কারাগারে অসুস্থ অবস্থায় মারা যান। আর চন্দন কুমার ভারতে পলাতক রয়েছেন। সুবল ছাড়া বাকি সাত জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা (মাস্টারপাড়া) গ্রামের নিজবাড়িতে খুন হন গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে ক্ষমতাসীন দলের এমপি লিটন। দুটি মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা গুলি করে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। সেই হত্যাকাণ্ডের দুই বছর ১১ মাসের মাথায় চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার রায় হলো।
হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) ডা. আবদুল কাদের খানসহ আট জন অভিযুক্ত হন।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর লিটন হত্যাকাণ্ডের পরদিন ১ জানুয়ারি অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েন করেন লিটনের ছোট বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী। পরে অধিকতর তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল ডা. আবদুল কাদের খাঁনসহ আট জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে পুলিশ।
২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল থেকে আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, শেষ হয় গত ৩১ অক্টোবর। মামলার বাদী ও নিহতের স্ত্রীসহ ৫৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। গত ১৮ ও ১৯ নভেম্বর জেলা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক গ্রহণ করেন।
লিটনের স্ত্রী খুরশিদ জাহান স্মৃতি বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে জানেন। গণতন্ত্র ও আইনের শাসন এবং বিচার বিভাগ স্বাধীন হওয়ায় আজ লিটন হত্যা মামলায় ন্যায় বিচার পেয়েছি। আমি চাই, যতো দ্রুত সম্ভব আসামিদের ফাঁসি কার্যকর হোক। এই রায় কার্যকরে যত বিলম্ব হবে ততোই আমাদের আর এলাকাবাসীর কষ্ট বাড়বে। মানুষের কল্যাণে নিবেদিত ও জনপ্রীয় ছিলেন লিটন। অকালে তার চলে যাওয়ায় পুরো পরিবারের মধ্যে আজও শোকের ছায়া। তার মৃত্যুতে শুধু সুন্দরগঞ্জ-গাইবান্ধা নয়, দেশের মানুষ তাকে এখনও শ্রদ্ধায় স্মরণ করে।’
এদিকে এই রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শফিকুল ইসলাম শফিক। তিন বলেন, ‘আলোচিত লিটন হত্যা মামলা ১৮ মাস চলার পর সাত আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আসামিরা পরিকল্পিতভাবে পরস্পর জড়িত থেকে হত্যাকাণ্ড ঘটায়। সব সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালতের এই রায় শুধু সন্তুষ্টি প্রকাশ নয়, এটি দেশের একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে ক্ষমতাসীন দলের এমপি লিটন হত্যা মামলায় সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ের সময় ছয় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। চার্জশিটে অভিযুক্ত আট আসামির মধ্যে মৃত একজনকে ছাড়া বাকিদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া এক আসামি এখনও পলাতক রয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সাবেক এমপি আবদুল কাদের খাঁন, তার পিএস শামছুজ্জোহা, গাড়িচালক হান্নান, ভাতিজা মেহেদি, গৃহকর্মী শাহীন, রানা ও চন্দন কুমার। হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আট আসামির মধ্যে কসাই সুবল কারাগারে অসুস্থ অবস্থায় মারা যান। আর চন্দন কুমার ভারতে পলাতক রয়েছেন। সুবল ছাড়া বাকি সাত জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা (মাস্টারপাড়া) গ্রামের নিজবাড়িতে খুন হন গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে ক্ষমতাসীন দলের এমপি লিটন। দুটি মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা গুলি করে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। সেই হত্যাকাণ্ডের দুই বছর ১১ মাসের মাথায় চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার রায় হলো।
হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) ডা. আবদুল কাদের খানসহ আট জন অভিযুক্ত হন।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর লিটন হত্যাকাণ্ডের পরদিন ১ জানুয়ারি অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েন করেন লিটনের ছোট বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী। পরে অধিকতর তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল ডা. আবদুল কাদের খাঁনসহ আট জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে পুলিশ।
২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল থেকে আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, শেষ হয় গত ৩১ অক্টোবর। মামলার বাদী ও নিহতের স্ত্রীসহ ৫৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। গত ১৮ ও ১৯ নভেম্বর জেলা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক গ্রহণ করেন।