‘মাইলর্ড কোর্টে এলাম মামলার শুনানি করতে। কোর্টের বাইরের অবস্থা, পুলিশের তল্লাশি, নিরাপত্তা দেখে আমাদেরতো কাঁপাকাপি শুরু হয়ে গেছে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদার জিয়ার জামিন শুনানিতে একথা বলেন তার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন বিচারপতির বৃহত্তর আপিল বেঞ্চে জামিন শুনানি শুরু হয়।
এ সময় সুপ্রিম কোর্টে কঠোর নিরাপত্তার বিষয়টি আপিল বিভাগের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।
শুনানির শুরুতে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘মাইলর্ড কোর্টে এলাম মামলার শুনানি করতে। কোর্টের বাইরের অবস্থা, পুলিশের তল্লাশি, নিরাপত্তা দেখে আমাদের তো কাঁপাকাপি শুরু হয়ে গেছে।’
তখন প্রধান বিচারপতি হাসতে হাসতে বলেন, ‘আপনারা আগের দিন হাইকোর্টের সামনে এসে রাস্তা বন্ধ করে গাড়ি ভাঙচুর করলেন আমাদেরও একই অবস্থা হয়েছিল।’
জবাবে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক বিষয়। মাঠে ময়দানের বিষয় মাঠেই থাকুক।’
এরপর জামিনের ওপর শুনানি শুরু হয়। আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘মাইলর্ড আমরা মামলার মেরিটে বলতে চাই না। মানবিক কারণে জামিন চাই। তিনি বয়স্ক একজন নারী, অসুস্থ হয়ে হাসাপাতালে রয়েছেন। মানবিক কারণে তার জামিন চাই।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে অফিসিয়ালি কোনো মেডিক্যাল রিপোর্ট নেই। তাই উপস্থাপন করতে পারছি না। আমরা গতকাল বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সাথে দেখা করেছি। তার কাছে মেডিক্যাল রিপোর্ট চেয়েছি। তিনি আমাদের রিপোর্ট দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, অ্যাটর্নি জেনারেল তাকে বলেছেন, আদালতের নির্দেশ ছাড়া কাউকে রিপোর্ট দেওয়া যাবে না।’
এরপর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘আমাকে মেলাইন করা হচ্ছে। আমি ভিসিকে কিছুই বলিনি।’
এ সময় জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘মাইলর্ড আপনি চাইলে মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট তলব করতে পারেন।’
এরপর প্রধান বিচারপতি আগামী ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে ওই দিন জামিনের আদেশের জন্য ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের প্রতিটি গেট ও কোর্ট প্রাঙ্গণে ব্যাপক নিরাপত্তা নেওয়া হয়।