মামলার অন্য আসামিরা হলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশন্স) ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিল, সাবেক পরিচালক (প্রশাসন) (বর্তমানে অধ্যক্ষ বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ট্রেনিং সেন্টার) পার্থ কুমার পণ্ডিত ও ব্যবস্থাপক (নিয়োগ) ফখরুল হোসেন চৌধুরী।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা ২০১৮ সালে ক্যাডেট পাইলট নিয়োগের দায়িত্বকালীন প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বয়স নির্ধারণে বিমানের প্রচলিত বিধি-বিধান অনুসরণ করেননি। নিজেদের ইচ্ছেমতো ব্যাখ্যা ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এবং পরবর্তী সময়ে ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল মুনীম মোসাদ্দিক আহমেদের ভাতিজাসহ ৩০জন প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করে নিজেরা লাভবান হয়েছেন।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, ক্যাডেট পাইলট নিয়োগের অপারেশন ম্যানুয়াল পার্ট অনুযায়ী নিয়োগের পদ্ধতি অনুসরণ না করে, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মানবণ্টন ম্যানুয়াল অনুযায়ী না করে মৌখিক পরীক্ষায় শতকরা ৫০ নম্বর রেখে বিশেষ প্রার্থীদের অবৈধ সুবিধা দিয়েছেন আসামিরা। লিখিত (এমসিকিউতে ২০ নম্বর ও বর্ণনামূলক ১০ নম্বর) পরীক্ষায় গ্রেস দেওয়ার মাধ্যমে প্রার্থী চূড়ান্ত করে অবৈধভাবে বিমানের ক্যাডেট পাইলট নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করে আসামিরা তাদের ওপর ন্যস্ত ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধমূলক অসদাচরণ করে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অপরাধ করেছেন।