ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি (বহিষ্কৃত) ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের সহযোগী সহ-সভাপতি (বহিষ্কৃত) এনামুল হক আরমানকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে তাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে নেওয়া হয়। ১৭ নভেম্বর দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরমানের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ।
এর আগে, গত ১২ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক সালাউদ্দিন আরমানের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে মামলা করেন। রাজধানীর অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিত আরমান গত ৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে সম্রাটের সঙ্গেই গ্রেফতার হন।
ক্যাসিনো সম্রাট-খ্যাত যুবলীগের আরেক বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত এই আরমান।
নব্বই দশকে বিদেশ থেকে লাগেজ পার্টির আনা ইলেকট্রনিক পণ্য বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এলাকার দোকানে দোকানে সরবরাহ করতেন তিনি। পরে নিজেই লাগেজ পার্টির কারবারে জড়িয়ে পড়েন। ২০১৩ সালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি পদ বাগিয়ে নেন। অল্প সময়ের মধ্যেই বিপুল পরিমাণ অর্থ-বিত্তের মালিক বনে যান। অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো কারবারের পাশাপাশি সিনেমা প্রযোজনাও শুরু করেছিলেন তিনি।