সোমবার সকালে তার নিজ কক্ষ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার এসআই বিল্লাল হোসেন ঢাকা টাইমসকে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। তবে পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বন্ধু সেবক মৃত্যুর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস লিখেছেন। সেখানে শ্রীধাম শ্রীঅঙ্গনের সাধারণ সম্পাদক বিজ্ঞান বন্ধু ব্রক্ষচারীর সঙ্গে বিরোধের জেরে আত্মহুতির কথা উল্লেখ আছে।
বন্ধু সেবক ব্রক্ষ্মচারীর সভাপতি কান্তি বন্ধু ব্রক্ষ্মচারী ঢাকা টাইমসকে জানান, সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে দুই নারী যৌন হয়রানি অভিযোগ তোলেন। এটা নিয়ে বন্ধু সেবক মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন।
এদিকে সোমবার ভোরে বন্ধু সেবকের ফেসবুক আইডি থেকে ‘জীবনের শেষ লেখা শেষ কথা’ শিরোনামে একটি স্ট্যাটাস লেখা হয়। সেখানে তিনি লিখেন:
‘এভাবে পৃথিবী ছেড়ে যাবার কথা ছিল না। পরিস্থিতির কারণে যেতে হচ্ছে। কলংককে মৃত্যুর সমান মনে করি। এর জন্য দায়ী শ্রীঅংগন মহানাম সমপ্রদায়ের সাধারণ সম্পাদক বিজ্ঞান বন্ধু । তারই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। দুই নারীকে আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করে মানুষ। অনুরোধ করব দুর্বলতা ঝেড়ে ফেলুন। জেগে ওঠুন। বহুমুখী গণতন্ত্রের ভিত্তিতে সংগঠন গড়ে তুলুন। মহানাম সম্প্রদায়ে সাধুর অভাব নেই। আছে শুধুই মনের অভাব। সবাইকে ডেকে ঐক্য গড়ে তুলুন।’
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা ঢাকা টাইমসকে জানান, সাধুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। প্রকৃত ঘটনা কী পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।