আইন সংশোধনের দাবিতে বাস চালকরা শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন।
চালকরা জানান, যেকোনও দুর্ঘটনার জন্য চালকরা একাই দায়ী নয়। দুর্ঘটনার জন্য সচেতনতার বিকল্প নেই। তাই যে আইনটি করা হয়েছে তা সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে।
চালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মূলত জীবিকার প্রয়োজনে এই পেশায় এসেছি। এমনিতেই পেশাটি ঝুঁকিপূর্ণ, তার ওপর যে আইনটি করা হয়েছে তা আমাদের জন্য আরও ঝুঁকিপূর্ণ। যদি এই আইনটি কার্যকর হয় তাহলে আমাদেরকে এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় যেতে হবে।’ফিরোজ নামে আরেক চালক বলেন, ‘এই আইন সংশোধন না করা হলে আমরা আর গাড়ি চালাবো না। আমাদের মতো গরিব মানুষের জরিমানার অর্থ দেওয়া সম্ভব না। আবার জেল খাটাও সম্ভব না।’
দিনাজপুর মটোর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি জানান, এটি সংগঠনের সিদ্ধান্ত না। কিছু চালক নিজেরাই বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।
হিলি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, তৃতীয় দিনের মতো হিলি-দিনাজপুর, হিলি-বগুড়া পথে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাস বন্ধ থাকায় যাত্রীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। তারা বিকল্প উপায়ে সিএনজি অটোরিকশা করে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। সেক্ষেত্রে তাদেরকে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। তবে হিলি-ঢাকা, হিলি-জয়পুরহাট রুটে বাসসহ পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
দিনাজপুর মোটরপরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন হাকিমপুর বাসস্ট্যান্ড শাখার সদস্য রঞ্জু হোসেন জানান, নতুন আইনের ভয়ে চালকরা বাস চালানো থেকে বিরত রয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে হিলি-বগুড়া, হিলি-দিনাজপুর পথে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। চালকরা বলছেন, তাদের কাছে ৫ লাখ টাকা নেই। তাই তারা বাস চালাবেন না। এ কারণে নতুন আইন সংস্কারের দাবিতে চালকরা নিজেরাই বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন। এছাড়া দিনাজপুরে বিআরটিসির শ্রমিকদের সঙ্গে আমাদের শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনায় শনিবার রংপুর বিভাগে বাস ধর্মঘট চলছে।