শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে বান কি মুন সাংবাদিকদের একথা বলেন।
বৈঠক সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড একে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবেলা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, রোহিঙ্গা সংকটসহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা করেছি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বান কি মুন আগামী মার্চে আবার ঢাকা আসছেন বলে জানান মন্ত্রী।
সাংবাদিকদের বান কি মুন বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু বিশ্বের জন্য খুবই মর্মান্তিক এবং দুঃখজনক একটি ঘটনা। আমি যখন জাতিসংঘের মহাসচিব ছিলাম এবং আমার দায়িত্বশীল শেষে সবসময়ই আমি এই সংকটের সমাধান চেয়েছি। এ বিষয়ে বিশ্ব নেতাদের সহায়তা চেয়েছি এবং এখনো চাচ্ছি। একইসঙ্গে আমি মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি নিবেদন জানাচ্ছি ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি করুন যাতে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে সাহস পায়। কেননা এই সংকটের সমাধান মিয়ানমারের কাছেই। মিয়ানমারকে এই সংকটের সমাধান করতে হবে।’
বাংলাদেশের প্রশংসা করে মুন বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশাল জনগোষ্ঠীর রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মহান মানবতার উদারতার পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের একার পক্ষে এই দায়িত্ব সামলানো কঠিন। তাই এই সংকট সমাধানে বিশ্বকে এগিয়ে আসতে হবে। মিয়ানমারকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। রোহিঙ্গা সংকট দূর করতে রাজনৈতিক সমাধান জরুরি।’
জাতিসংঘের সাবেক এই মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের একার পক্ষে এই দায়িত্ব সামলানো কঠিন। তাই এই সংকট সমাধানে বিশ্বকে এগিয়ে আসতে হবে। মিয়ানমারকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। রোহিঙ্গা সংকট দূর করতে রাজনৈতিক সমাধান জরুরি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে বান কি মুন বলেন, ‘বৈঠকে আমরা নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কিছু কিছু বিষয় আলোচনা করেছি। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ কীভাবে মোকাবেলা করছে আমরা সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ বিশ্বে অনুকরণীয়। তরুণ জনগোষ্ঠী এবং নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত বাংলাদেশে কিভাবে কাজ করছে আমরা বৈঠকে তা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে এবার আমি ঢাকায় এসেছি। এর আগে গত জুনে ঢাকায় এসেছিলাম।