বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ২৫ জনকে আসামি করে মহানগর হাকিম আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে বিফ্রিং করে একথা জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে বুয়েটের ২৫ জন ছাত্রের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এজাহারভুক্ত ১৯ জন, এজাহারের বাইরে ছয়জন। ছয়জনের মধ্যে একজন পলাতক আছে। সরাসরি মারপিটে অংশগ্রহণ করে ১১ জন। বাকিরা পরিকল্পনাকারীসহ ওৎপ্রোতভাবে জড়িত।
এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন-মেহেদী হাসান রাসেল , মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা ও এ এস এম নাজমুস সাদাত।
এজাহার বহির্ভূত পাঁচজন হলেন- ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এস এম মাহমুদ সেতু।
একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের একটি কক্ষে আবরারকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। ওই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।