দেশজনতা অনলাইন : ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে চার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ (এসকে সিনহা) ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১১ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (২ অক্টোবর) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েস এই আদেশ দেন।
মামলায় অন্য অভিযুক্তরা হলেন—ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম শামীম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক ক্রেডিট প্রধান গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মো. জিয়া উদ্দিন আহমেদ, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান, একই জেলার নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, শান্তি রায় ওরফে সিমি ও তার স্বামী রণজিৎ চন্দ্র সাহা।
এর আগে ১০ জুলাই দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ‘অভিযুক্তরা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) গুলশান শাখা থেকে অস্বাভাবিক দ্রুততার সঙ্গে চার কোটি টাকা ভুয়া ঋণ সৃষ্টি করে তা একই দিন পে-অর্ডারের মাধ্যমে এসকে সিনহার ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর করেন।’
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর সময়ের মধ্যে এসকে সিনহা নগদ, চেক ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা সরিয়ে নিয়ে তা আত্মসাৎ করেন, যা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪ (২), (৩) ধারায় এবং দণ্ডবিধি আইনের ৪০৯, ৪২০, ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার ব্যাংক হিসাবে চার কোটি টাকা লেনদেনের ঘটনায় জালিয়াতি প্রমাণের কথা জানিয়েছিলেন দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। এ ঘটনায় ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি কেএম শামীমসহ ছয় কর্মকর্তা এবং মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা এসকে সিনহার ব্যাংক হিসাবে চার কোটি টাকা স্থানান্তরের বিষয়টি স্বীকার করেন।
মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করেছেন দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।