সম্প্রতি মিষ্টি জান্নাত ফেসবুক লাইভে এসে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেন। জি কে শামীমকে চেনেন না উল্লেখ করে এই নায়িকা বলেন, আমি যাকে (জি কে শামীম) চিনি না, আমি যার নাম লাইফে শুনিনি, তার সঙ্গে আমাকে জড়ানো হচ্ছে। প্রথমে বিষয়টি আমি স্বাভাবিকভাবে নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, নায়িকা মানে স্ক্যান্ডাল হতেই পারে। কিন্তু এতো নায়িকা থাকতে আমি কেন? আম্মু আমাকে বলেছে, আমি এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে তিনি আত্মহত্যা করবেন। যে কারণে আমি মিডিয়ায় মুখ খুললাম এবং ফেসবুক লাইভে এলাম। আমি যদি চুপ থাকি তাহলে মানুষ মনে করবে, আমি ঘটনার সঙ্গে জড়িত। যদিও কোনো সাংবাদিক সরাসরি আমার নাম লিখেননি। তবুও এমনভাবে সংবাদগুলো প্রকাশিত হয়েছে যেখানে লেখা আছে- সেই নায়িকা ডেন্টালে পড়ে, খুলনার মেয়ে। এতে স্পষ্ট বোঝা যায় মেয়েটি আমি। আমাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। অনলাইনে এ নিয়ে বিভিন্ন খবর আসছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আমি যদি কিছু না করে থাকি তাহলে এতে আমার যে মান-সম্মান নষ্ট হচ্ছে সেটা কে ফেরত দিবে? আমি একটি পরিবারে থাকি। ডেন্টাল কলেজে পড়ছি। সেখানে আমার বন্ধুরা রয়েছে- তারা বিষয়টি কীভাবে দেখবে? এ বিষয়ে আমি আইনি পদক্ষেপ নেবো কিনা, তা সময়ই বলে দিবে।’
মিষ্টি জান্নাত ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, ‘র্যাব অফিস, ডিবি অফিস ও আমার আইনজীবীরা সব জায়গায় খোঁজ নিয়েছেন। কিন্তু সে (জি কে শামীম) আমার নাম বলেনি। জি কে শামীম ইস্যুটা আমি জানিই না! এতে কেন আমার নাম বারবার জড়ানো হচ্ছে? যে সাংবাদিক প্রথমে আমার নামটা জাড়িয়েছেন তার কাছে যদি প্রমাণ থাকে, তবে তিনি সাবমিট করুন। যদি প্রমাণ করতে পারেন, আমি শাস্তি মাথা পেতে নেব। আর যদি তা না পারেন তাহলে তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। আমি বলিউডে কাজ করছি।কলকাতায় কাজ করেছি, করছি।এর পাশাপাশি আমি নিজের ইচ্ছাতেই বিভিন্ন বিজনেস করছি। ব্যবসা করতে গেলে ব্যাংক ও ফান্ডের প্রয়োজন আছে। আর আমার প্রত্যেক ব্যবসার পার্টনার রয়েছে। ব্যবসায়িক পার্টনার থাকতেই পারে। কোনো প্রমাণ ছাড়া জি কে শামীমের সঙ্গে আমাকে জড়ানো একেবারেই অনুচিত।’
মিষ্টি জান্নাত ফেসবুকে স্ট্যাটাসে লিখেছেন: ‘আমি কী? আমার ফ্যামিলি কী- সবাই জানে।নতুন করে জানানোর কিছু নেই। র্যাব অফিসার, ডিবি অফিসারদের কাছে আমার দাবি- দয়া করে যদি কোনো প্রমাণ থাকে সেটা জনগণের সামনে উপস্থাপন করেন। জনগণ না জেনে অনেক কথা বলছে। দয়া করে আমার জীবনটাকে ‘জাহান্নাম’ বানাবেন না। দয়া করে প্রেজেন্ট করুন। সরকারের কাছে অনুরোধ একটাই- ঐ সাংবাদিকের কাছে কী প্রমাণ আছে সেটা বের করেন। আর সে প্রমাণ না করতে পারলে তার শাস্তি কী হবে? আরো অনুরোধ, আমার মান সম্মান এইভাবে নষ্ট করলো সেটার ক্ষতিপূরণ কে দিবে? কে? এতো মিথ্যা অপমান, অপবাদ সহ্য করার মতো না। আমার পরিবারের সবাই অসুস্থ হয়ে গেছে এসব মিথ্যা খববের জন্য। আজ আমার পরিবারের কিছু হলে দায়িত্ব কে নিবে? এতো দিন চুপ ছিলাম কারণ ব্যাপারটা নরমালি নিয়েছিলাম। কিন্তু আর সহ্য করা যাচ্ছে না। এটা প্রমাণ হবে আমি নির্দোষ। আল্লাহ বিচার করবে মিথ্যা অপবাদের। আর অপরাধীরও! অপরাধীর বিচার পৃথিবীতেই হবে। ইনশাআল্লাহ।’