রবিবার সকালে ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা পরও শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
আন্দোলনের মুখে গতকাল শনিবার সকালে ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, কোন শিক্ষার্থীই সে আদেশ মানেননি। ভিসি পদত্যাগ না করা পয্যন্ত শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আমরণ অনশনে বসেছেন।
এদিকে আবোরো হামলার আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের বাইরে বিভিন্ন স্থানে শনিবার বহিরাগতদের হামলায় ২০ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনার তারা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন বলে জানান।
শিক্ষার্থীদের উপর ওই হামলার ঘটনার প্রতিবাদে সহকারী প্রক্টর মো. হুমায়ূন কবীর পদত্যাগ করেন। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ত্যাগ না করায় বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোনায়েন করা হয়েছে।
রেজিস্ট্রার মো. নূরউদ্দিন আহমেদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে কথা হলে তিনি জানান, শিক্ষার্থীরা আগের মতোই আন্দোলন করে যাচ্ছে। তাদের সাথে সমঝোতার চেষ্টা চালানো হলেও তারা আমাদের সাথে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি। কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী হল ত্যাগ করেছে বলে জেনেছি। কিন্তু বেশীর ভাগই রয়ে গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর মো. বশির উদ্দিন শিক্ষার্থীদের উপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে বলেন, এ বিষয়ে ইইই বিভাগের ডিন প্রফেসর ড. আব্দুর রহিমকে প্রধান, আইন বিভাগের ডিন আ. কুদ্দুছ মিয়াকে সদস্য সচিব ও ড. সামচুল আরেফিনকে সদস্য করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আগামী পাঁচদিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে হল ছাড়ার অফিস আদেশ থাকলেও শিক্ষার্থীরা কিন্তু হলে অবস্থান করেছেন। আসলে আমরা তাদেরকে রাগাতে চাই না। একটা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চাই।