২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৭:০৩

বিশ্বে প্রথমবার ম্যালেরিয়ার টিকা

বিশ্বে প্রথমবারের মতো শিশুদের টিকাদান কর্মসূচিতে ম্যালেরিয়ার টিকা অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। ম্যালেরিয়ার টিকা প্রকল্পের তৃতীয় দেশ কেনিয়া।

আফ্রিকার দেশ ঘানা ও মালাউতে চলতি বছরের শুরুতে এ টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়। বিবিসি জানায়, শুক্রবার কেনিয়ার কিসুমু, কাকামেগা ও মোম্বাসায় ম্যালেরিয়ার টিকার প্রথম চালান পাঠানো হয়েছে।

এ টিকা মশাবাহী রোগ ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় জয় এনে দেবে বলে আশা বিজ্ঞানীদের। আশা করা হচ্ছে, আগামী তিন বছর নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে তিন লাখের বেশি শিশুকে ম্যালেরিয়ার টিকা দেয়া হবে।

প্রায় ৩০ বছর ধরে বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল এ টিকা। ‘আরটিএসএস’ নামের এ টিকা শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে ম্যালেরিয়ার জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করবে। এ টিকা বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের জীবন রক্ষা করবে বলে আশা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও)।

প্রতিটি শিশুকে চার ভাগে (ডোজ) এই টিকা দেয়া হবে। শিশুর দুই বছর বয়স হওয়ার আগে চতুর্থ ডোজ গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে ডব্লিউএইচও জানিয়েছিল, পরপর তিন মাসে তিন ডোজ এবং ১৮ মাস পর চতুর্থ ডোজ।

গবেষকদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, পরীক্ষায় টিকা গ্রহণের ফলে ১০টি শিশুর মধ্যে চারজনের শরীরে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে ওঠার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া পরীক্ষাগারে দেখা গেছে, মারাত্মক ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও এ টিকা এক-তৃতীয়াংশ সফল।

বিজ্ঞানীদের আশা, এ টিকা ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার হবে। গবেষণাগারে ম্যালেরিয়ার টিকা কার্যকর ও নিরাপদ বলে প্রমাণিত হয়েছে। এখন দেখার বিষয় বাস্তবে এটা ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে কতটা কার্যকর; বিশেষ করে দুর্গম অঞ্চলগুলোতে।

বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো এবং প্রাণঘাতী রোগগুলোর একটি ম্যালেরিয়ায় প্রতি বছর চার লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়, যাদের বেশির ভাগই শিশু।

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯ ২:০৯ অপরাহ্ণ