২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৩:৪৮

মিনিস্টার কারখানায় ফ্রিজ-টিভি পুড়ে শত কোটি টাকার ক্ষতি, দাবি মালিকপক্ষের

আব্দুর রাজ্জাক খান রাজ দাবি করেন, কারখানায় ফায়ার সার্টিফিকেট, ভবনের কাগজপত্র, পরিবেশ ছাড়পত্রসহ আনুষঙ্গিক সব কাগজপত্র তাদের হাতে আছে। কারখানায় পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাও রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের কারখানার আগুন নেভানোর জন্য পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ছিল। ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিট সাত ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এতে বোঝা যায় আগুনের ভয়াবহতা কত ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘কারখানাটি বিল্ডিং কোড মেনে এবং ফায়ার সার্ভিসের সব নীতিমালা অনুসরণ করে তৈরি করা হয়েছে। কারখানাটি আমি তিল তিল করে গড়ে তুলেছি। এ কারখানায় প্রায় দুই হাজার শ্রমিক কাজ করেন। এ ধরনের দুর্ঘটনা যেন আবার না ঘটে, সেজন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারখানাটির ষষ্ঠ তলায় কারখানার সব তৈরি করা মালামাল ছিল।’.

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আগুন লাগার পর সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় নেতারা সবাই আমাকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। এজন্য আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ এবং তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমি যাতে ক্ষতি পুষিয়ে আবার কারখানাটিকে দাঁড় করাতে পারি, এর জন্য সকলের দোয়া এবং সহযোগিতা কামনা করি।’

কোম্পানির চেয়ারম্যান আরও জানান, ‘কারখানার ১২৩ কোটি টাকার বিমা রয়েছে। আর এই আগুনে ক্ষতি হয়েছে কমবেশি ১০০ কোটি টাকার মতো। কারখানাটি সংস্কার ও মেরামত করার জন্য এবং তদন্ত কাজের সুবিধার জন্য আগামী তিন দিন কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কারখানার পরিচালক (অর্থ) মুজিবুর রহমান, কারখানা পরিচালক (অপারেশন) হাজী গোলাম মোস্তফা খান।.

প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে গাজীপুর মহানগরের ধীরাশ্রম এলাকায় মিনিস্টার হাইটেক পার্কের কারখানায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিট প্রায় সাত ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এতে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

অগ্নিকাণ্ডের পর ফায়ার সার্ভিস ও কল-কারখানা অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, এই কারখানায় নিয়মিত অগ্নিনির্বাপণ মহড়ার আয়োজন করা হতো না। নিয়ম না থাকার পরও ছয় তলার ওপরে গুদাম ছিল। কারখানায় ফায়ার অ্যালার্ম ও অগ্নিনির্বাপণের পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ছিল না। এ ব্যাপারে প্রায় তিন সপ্তাহ আগে নোটিশ দেওয়া হলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ কোনও জবাব দেয়নি। এ কারণে কলকারখানা অধিদফতর তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

 

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯ ২:৩৪ অপরাহ্ণ