বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রশ্ন রাখেন বিএনপি মহাসচিব। আগের দিন জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর একটি বক্তব্যের রেশ ধরে এই প্রশ্নটি রাখেন তিনি।
বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার এক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বুধবার সংসদে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মানুষ হত্যার রাজনীতি করে না। প্রতিহিংসার রাজনীতিতেও বিশ্বাসী নয়। আমরা যদি তাই বিশ্বাস করতাম তাহলে এদেশে বিএনপির অস্তিত্ব থাকত না। কারণ বিএনপির দ্বারা আমরা যে পরিমাণ হত্যা, নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার হয়েছি তা আর কেউ হয়নি।’
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এ কথাটা বলে উনি কি এটাই বোঝাতে চেয়েছেন যে অস্তিত্ব রক্ষা না করার জন্যই তারা কাজ করে যাচ্ছেন?’
‘বাংলাদেশে যাতে বিরোধী দল না থাকে সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করেছে। আদালতে কোনো বিচার হয় না। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলকভাবে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তার যেটা প্রাপ্য জামিন সেটা তাকে দেওয়া হচ্ছে না।’
‘একই ধরনের মামলায় অন্য যারা সাজা পেয়েছেন তারা জামিনে আছেন। সেক্ষেত্রে খালেদা জিয়ার বিষয়ে এটাকে পুরোপুরি দলীয়করণের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
‘প্রতিহিংসাটা অত্যন্ত গভীরে। আজকের শাসকগোষ্ঠী পুরোপুরি অবৈধভাবে জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে ভোট ডাকাতির নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসে আছে।তাদের পক্ষে এই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা, সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করা, মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া সম্ভব হবে না, যদি খালেদা জিয়া বাইরে থাকেন। সে কারণে তাকে কারাগারে রাখা হয়েছে।’
বিশ্বে বিএনপির মতো কোনো দল কখনো এত বেশি নির্াতিত হয়নি বলেও দাবি করেন ফখরুল। বলেন, ‘দুই মাসে আগের হিসাবে ২৬ লাখ আসামি করা হয়েছে, এক লাখের ওপরে মামলা। ৫০০-এর ওপরে নেতাকর্মী গুম ও কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।