ঘোষণা অনুযায়ী ১৫ সেপ্টেম্বর মৎস্যজীবী দল, পরদিন মুক্তিযোদ্ধা দল, ১৭ সেপ্টেম্বর তাঁতী দল, তার পরদিন অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স- বাংলাদেশের (এইবি), ১৯ সেপ্টেম্বর ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব), পরদিন যুবদল, ২১ সেপ্টেম্বর ওলামা দল, পরদিন মহিলা দল, ২৪ সেপ্টেম্বর কৃষক দল, পরদিন শ্রমিক দল, ২৭ সেপ্টেম্বর কৃষিবিদদের সংগঠন অ্যাব এবং সব শেষে ২৮ সেপ্টেম্বর স্বেচ্ছাসেবক দল এই মানববন্ধন করবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেন, ‘চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে আমরা ধাপে ধাপে কর্মসূচি গ্রহণ শুরু করেছি।’
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা জিয়া। বিএনপি আপিল করলে শুনানি শেষে উল্টো সাজা হয় দ্বিগুণ। এর মধ্যে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আরও সাত বছরের কারাদণ্ড হয় বিএনপি নেত্রীর।
দলীয় চেয়ারপারসনের কিছু হলে বিএনপি দেশে ‘আগুন জ্বালানোর’ হুমকি দিলেও পরে নমনীয় কর্মসূচিতে যায়। মানববন্ধন, গণস্বাক্ষর, সমাবেশের মতো কর্মসূচিগুলো সরকারের ওপর কোনো চাপ তৈরি করতে পারেনি। এর মধ্যে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি না মানলেও আওয়ামী লীগের অধীনেই ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে যায় বিএনপি। আর ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে ফল করার পর সংসদে প্রধান বিরোধীদলও হতে পারেনি তারা।
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন মানববন্ধন পর্যায়ে থাকবে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা তো এখন বলতে পারব না, তবে মানববন্ধন হবে, এরপর নিউ কোর্সে সুনির্দিষ্টভাবে আন্দোলন হবে।’
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা শাহ নেছার উদ্দীন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।