তাতে তৃতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগে আফগানিস্তান লিড নিয়েছে ১৯৩ রানের। ক্রিজে আছেন ইব্রাহিম জারদান (২৪*) ও আসগর আফগান (১৬*)। ২ উইকেটে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান, অন্যটি নাঈম হাসানের শিকার।
নাঈমের শিকারে আফগানদের নেই ৩ উইকেট
সাকিব আল হাসানের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করে যাচ্ছিল আফগানিস্তান। তবে প্রতিরোধ টিকলো না নাঈম হাসানের আঘাতে। এই স্পিনারের বলে ফিরে গেছেন হাশমতউল্লাহ শহীদি।
তাতে তৃতীয় উইকেট হারালো সফরকারীরা। নাঈমের বলে দারুণ ক্যাচে হাশমতউল্লাহকে ফিরিয়েছেন সৌম্য সরকার। এই স্পিনারের বাঁক নেওয়া ডেলিভারি হাশমতউল্লাহর ব্যাট ছুঁয়ে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের পায়ে লেগে আশ্রয় নেয় সৌম্যর হাতে। আফগান এই ব্যাটসম্যান ৩৭ বলে করেছেন ১২ রান।
প্রথম ওভারেই সাকিবের জোড়া আঘাত
প্রথম ইনিংসে মাত্র ২০৫ রানে গুটিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের বোলিংয়ের শুরুটা হয়েছে দুর্দান্ত। বল হাতে তুলে নেওয়া সাকিব আল হাসান প্রথম ওভারেই পেয়েছেন ২ উইকেট।
প্রথম ইনিংস শেষে ১৩৭ রানে পিছিয়ে থাকায় বাংলাদেশের দারুণ বোলিংয়ের শুরু প্রয়োজন ছিল। সেটা পূরণে সাকিবই শুরু করেন বোলিং। প্রথম ওভারেই করেন বাজিমাত। টানা দুই বলে উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন তিনি।
আফগানদের দ্বিতীয় ইনিংসের তৃতীয় বলে এলবিডাব্লিউ করে সাকিব ফেরান ইহসানউল্লাহকে (৪)। পরের বলে আবারও উইকেট বাংলাদেশ অধিনায়কের। এবার তার শিকার প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান রহমত শাহ। নিজের মুখোমুখি প্রথম বলে সাকিবের কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান।
২০৫ রানে অলআউট বাংলাদেশ
তৃতীয় দিনের শুরুতে মোটে ৪ ওভার ব্যাট করতে পারলো বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকরা অলআউট হয়েছে ২০৫ রানে। আফগানিস্তানের প্রথম ইনিংসের চেয়ে ১৩৭ রানে পিছিয়ে থাকতে হলো সাকিব আল হাসানদের।
মোসাদ্দেক হোসেন অপরাজিত থাকলেও সঙ্গীর অভাবে কিছুই করতে পারেলেন না। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত ছিলেন ৪৮ রানে। তৃতীয় দিনে মাত্র ১১ রান যোগ করতে শেষ ২ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
আগের দিনের ৮ উইকেটে ১৯৪ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনের সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের চাওয়া ছিল, অপরাজিত থাকা মোসাদ্দেক ও তাইজুল যেন আরও অনেকটা সময় থাকতে পারেন ক্রিজে। কিন্তু দিনের প্রথম ওভারেই ফিরে যেতে হয় তাইজুলকে।
দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে প্রতিরোধ গড়লেও তৃতীয় দিনের তৃতীয় বলে হার মানেন তাইজুল। মোহাম্মদ নবীর বলে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। যাওয়ার আগে ৫৮ বলে খেলেন ১৪ রানের ইনিংস।
তার বিদায়ের পর নাঈম হাসানের শুরুটা ভালো হলেও বেশিদূর যেতে পারেননি। ১২ বলে ৭ রান করে ফেরেন প্যাভিলিয়নে। তাকে ফিরিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৫ উইকেটের ঘর পূরণ করেন রশিদ খান। ৫৫ রানে আফগান অধিনায়ক নিয়েছেন ৫ উইকেট। মোহাম্মদ নবীর শিকার ৩ উইকেট।