সংগত কারণেই প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করা প্রথম দেশের স্বীকৃতি পাওয়ার আশায় ছিল ভারত। স্থানীয় সময় রাত ১টা ৫৫ মিনিটে চলে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। কিন্তু ভারতের মিশন সফল হওয়ার কোনও বার্তা আসেনি। কন্ট্রোল রুমে বসে লাইভ দেখছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাকে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানান ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
চাঁদে অবতরণ ব্যর্থ হওয়ার পর মোদি বিজ্ঞানীদের বলেন, এখনও সাফল্য অধরা থাকলেও আপনারা যা করেছেন সেটাই বা কম কী? আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। হাল ছাড়বেন না। আপনাদের পরিশ্রমেই ফের আনন্দে মাতবে দেশবাসী। আমি আপনাদের অভিন্দন জানাই। আপনারা সবাই দেশ, বিজ্ঞান ও মানুষের জন্য দারুণ কাজ করেছেন। সবরকমভাবে আমি আপনাদের সঙ্গে রয়েছি, সাহসের সঙ্গে এগিয়ে চলুন।
ভারতীয় সময় রাত ১.৩০ থেকে ২.৩০ এর মধ্যবর্তী সময়ে মূল অরবিট থেকে আলাদা হয়ে যায় ল্যান্ডার বিক্রম। তবে শেষের কিছুক্ষণ সময়কে “আতঙ্কের ১৫ মিনিট” বলে ব্যাখা করেছে ইসরো। পৃষ্ঠ থেকে ২ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিক্রম।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো-র প্রধান ক শিবান বলেন, বিক্রম ল্যান্ডার ছিল পরিকল্পিত। ২ দশমিক ১ কিলোমিটার পর্যন্ত এটি স্বাভাবিক লাগছিল। পরে পৃষ্ঠের সঙ্গে ল্যান্ডারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যাবতীয় তথ্য বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
চন্দ্রযান-২ কে ইসরো-র সবচেয়ে জটিল অভিযান বলে মন্তব্য করেন কে শিবান। এনডিটিভি জানিয়েছে, পরিকল্পনা মাফিক যদি সবকিছু এগিয়ে যেতো, তাহলে সকাল ৫.৩০ থেকে ৬.৩০ এর মধ্যে বেরিয়ে পড়তো এই চন্দ্রযান। ১৪ দিনের আয়ুষ্কালে চাঁদের সম্পদের খোঁজ করা, পানির সন্ধান করা এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ছবি সংগ্রহের কাজ করতো এটি। সূত্র: এনডিটিভি, জি নিউজ, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।