এরপর একটি সাক্ষাৎকারে নোবেল মন্তব্য করেন, ‘রবীন্দ্রনাথের লেখা ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটির চেয়ে জেমসের ‘বাংলাদেশ’ গানটি বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে আরও বিস্তারিত ও সুন্দরভাবে তুলে ধরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী চায়, এই গানটিকে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত করা হোক। আমিও তাদের সঙ্গে একমত।’
ব্যাস, এই সাক্ষাৎকার প্রচার হতেই দেশব্যাপী সমালোচিত হন নোবেল। যে গানপ্রেমীরা তার গানে মুগ্ধ হয়েছিলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় তারাই নোবেলের নিন্দায় মেতে পড়েন। তাকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয় কলকাতায়ও। সেখানকার একজন কণ্ঠশিল্পী ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, সামনে পেলে নোবেলকে তিনি চাবকাবেন। সম্প্রতি সেই নোবেল জানালেন, তিনি আর কোনো দিন ‘বাংলাদেশ’ গানটি গাইবেন না।
নোবেল বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে রয়েছেন। সম্প্রতি সেখানকার একটি স্কুলে বাংলাদেশি ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ফ্যামিলির আয়োজনে একটি কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পারফর্ম করেন নোবেল। একপর্যায়ে উপস্থিত দর্শকরা নোবেলকে ‘বাংলাদেশ’ গানটি গাওয়ার অনুরোধ করেন। এ সময় নোবেল সাফ জানিয়ে দেন, ‘বাংলাদেশ’ গানটি নিয়ে দেশে অনেক ঝামেলা হয়েছে। তাই এই গানটি আর কোনো দিনই গাইব না।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ‘সা রে গা মা পা’ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে বেশ কয়েকজন প্রতিযোগী অংশ নিলেও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেন গোপালগঞ্জের ছেলে নোবেল। প্রতিযোগিতার শুরু থেকে তাকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অন্যতম দাবিদার মনে করা হলেও গ্র্যান্ড ফিনালেতে তিনি হন দ্বিতীয় রানারআপ। সেই ফলাফল ঘোষণার পর দেশের বাইরে এবং যুক্তরাষ্ট্রে এটি নোবেলের প্রথম কনসার্ট।