নিহতরা হলেন মুদি দোকানদার ফিরোজ আহমদ এবং তার দোকানের কর্মচারী আনোয়ার হোসেন। ফিরোজ কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ছোট জামছড়ি এলাকার লাল মোহাম্মদের ছেলে এবং আনোয়ার একই ইউনিয়নের শুকমনিয়া গ্রামের নুর কাদেরের ছেলে।
আগুনে বাজারের পাঁচটি দোকান পুড়ে গেছে। এতে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ইসমাইল মো. নোমান আগুনে দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাজারের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম জানান, গভীর রাতে ফিরোজ আহমদের মুদির দোকান থেকে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে রামু এবং কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আধা ঘণ্টার মতো চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও তার আগেই বাজারের পাঁচটি দোকান পুড়ে যায়। এ সময় দোকানে ঘুমিয়ে থাকা ফিরোজ ও তার দোকানের কর্মচারী আনোয়ার মারা যায়। পুড়ে যায় ফিরোজের দোকানের সামনে রাখা তার মোটরসাইকেলও।
আগুনে ফিরোজ আহমদ, দিল মোহাম্মদের ওয়ার্কশপ, আবদুল করিম, মনির আহমদ ও অধির কর্মকারের দোকান পুড়ে গেছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা, রামু থানার ওসি আবুল খায়ের, ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ইসমাইল মো. নোমান।
ভোররাত চারটার দিকে লাশগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা দেন।